ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

তিন কন্যার বিয়ে

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ১৬ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তিন কন্যার বিয়ে

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : ধুমধাম করে কুষ্টিয়া সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের তিন কন্যার বিয়ে হয়েছে।

আজ বুধবার সমাজসেবা অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার আয়োজনে তাদের বিয়ে হয়। বর-কনেরা হলেন- ইতি খাতুন, বর-জিল্লুর রহমান; হাওয়া খাতুন, বর-সুজন আলী এবং উরুফা খাতুন, বর-রুহুল আমিন রিন্টু।

দুপুর দেড়টায় বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়। পুরো আয়োজনের উদ্যোক্তা ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হান।

এক এক করে বিয়ের গাড়ি যখন প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের গেটে এসে পৌঁছায় জেলা প্রশাসন এবং কেন্দের কর্মকর্তারা বরকে বরণ করে নিয়ে আসেন বিয়ের অনুষ্ঠানে।

ইতি, হাওয়া ও উরুফার প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছর পেরিয়েছে। থাকেন প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে।

প্রশাসন সূত্র জানায়, উরুফা খাতুনকে পাঁচ বছর আগে যশোরের আহসানিয়া মিশন থেকে এই কেন্দ্রে আনা হয়। তিনি নাম বলতে পারেন। তবে মা-বাবার নাম বা বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেন না। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় মৃত সাজদী গায়েনের ছেলে রুহুল আমিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। রুহুল ঢাকায় রিকশা চালান।

ছয় বছর আগে এই কেন্দ্রে আরেকজন মেয়ের বিয়ে হয়েছিল নওয়াপাড়ায়। তার সূত্র ধরে রুহুল আমিনের সঙ্গে এই বিয়ে।

হাওয়া খাতুনকে পাঁচ বছর আগে যশোর আহসানিয়া মিশন থেকে এই কেন্দ্রে আনা হয়। তিনি বাকপ্রতিতবন্ধী। তবে অল্প একটু লিখতে পারেন। কিন্তু বাড়ির ঠিকানা জানেন না। কেন্দ্রের এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজন আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। সুজন কৃষি কাজ করেন।

ইতি খাতুনকে দেড় বছর আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পাওয়া যায়। সেখানে এক নারী কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশের মাধ্যমে তাকে এই কেন্দ্রে আনা হয়। ইতি খাতুন তেমন কথা বলতে পারেন না। তবে ইশারায় সব জানাতে পারেন। কিন্তু বাড়ির ঠিকানা জানাতে পারেননি। সেই থেকে এখানে থাকেন। সম্প্রতি এক নারী যোগাযোগ করেন মেয়েটিকে তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। খোকসা উপজেলার শোমসপুর গ্রামের শাহাদত শেখের ছেলে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তার। জিল্লুর এলাকায় ভ্যান চালায়।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক জহির রায়হান বলেন, একটা মেয়ের বিয়েতে পরিবারের সদস্যরা যেরকমভাবে থাকে, ঠিক একইভাবে তিন মেয়ের পাশে ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বিয়েতে প্রত্যেক বরের সঙ্গে ১৫ জন করে যাত্রী আসেন।



রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/১৬ মে ২০১৮/কাঞ্চন কুমার/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়