ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইসহ ২ জন খুন

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১২, ১৪ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইসহ ২ জন খুন

ভোলা সংবাদদাতা : ভোলায় জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইসহ দুইজন নিহত হয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি পরিষদসংলগ্ন মোস্তফা মাস্টারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ রাতেই এ ঘটনায় ঘাতক মামুনের দুই ছেলেকে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ঘটনার মূল আসামি মামুন ও ফিরোজ পলাতক রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি পরিষদসংলগ্ন এলাকার মো. মোস্তফা মাস্টারের বড় ছেলে মো. মামুনের (৪৫) সাথে ছোট ছেলে সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুমের (৩৫)) দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার রাতে পুলিশের দোকানসংলগ্ন এলাকায় মো. মামুনের বন্ধু কাশেম মাস্টারের ছেলে মো. ফিরোজের সাথে মাসুমের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মো. মামুন, তার বন্ধু মো. ফিরোজ, ছেলে মো. শরীফ হোসেন ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাসুমের ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা মাসুমকে কুপিয়ে জখম করেন।

হামলাকারীদের হাত থেকে মাসুমকে উদ্ধার করতে তার শ্যালক কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদ এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। মাসুম ও জাহিদের আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে জড়ো হলে মামুন, ফিরোজ, শরীফ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে মাসুম ও জাহিদকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রাতেই মামুনের বড় ছেলে মো. শরীফ ও ছোট ছেলে আরিফকে আটক করেছে। বাকিদের ধরার জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী জামাল হোসেন ও সোহেল জানান, তারা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এলাকাবাসীর ডাক-চিৎকার শুনে এগিয়ে দেখেন মাসুম ও জাহিদ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং মামুন, ফিরোজ ও শরীফ ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

মামুন ও মাসুমের ছোট ভগ্নিপতি মো. বাবু বলেন, ‘রাতে আমি মাসুমকে মোটরসাইকেল দিয়ে তার বাসায় এগিয়ে দিয়ে আমার বাসায় চলে আসি। রাতের খাবার খেতে বসলে মাসুম আমাকে ফোন দিয়ে বলে, মামুন, ফিরোজ ও শরীফ তাকে হত্যার চেষ্টা করছে। তাকে বাঁচানোর কথা বলে। এ কথা শুনে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মাসুম ও জাহিদ রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে আছে। তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।’

বাবু আরো বলেন, ‘আমার শ্যালক মামুন ও মাসুমের সাথে চরের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। জমিজমা নিয়ে তাদের একাধিকবার ঝগড়া হয়। আমি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার ফয়সালা করে দিয়েছি।’

মাসুমের মা জানান, দুই ভাইয়ের সাথে দীর্ঘদিন চরের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ভোলা/১৪ মে ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়