ঢাকা     রোববার   ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দাম কমিয়ে পাটজাত পণ্য বিক্রির পক্ষে বাদশা

তানজিমুল হক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ১১ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দাম কমিয়ে পাটজাত পণ্য বিক্রির পক্ষে বাদশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর গুদামে এখন প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার পণ্য পড়ে আছে। এসব পণ্য বিক্রি না হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে, ঈদের আগে বেতন-ভাতা পরিশোধের সরকারি ঘোষণা না এলে পাটকল শ্রমিকরা আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমিয়ে পাটজাত পণ্য বিক্রি করার পক্ষে মত দিয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন পাটজাত পণ্যের দাম দুই থেকে তিন ডলার কমিয়ে দিলেই সব পণ্য বিক্রি হয়ে যাবে। তখন পর্যাপ্ত টাকার যোগান হবে এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হবে।

শনিবার সকালে রাজশাহী জুট মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সঙ্গে সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, পাটশিল্পের প্রতি অবহেলার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীতে পাটজাত পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, পাটজাত পণ্যের দাম দুই-তিন ডলার কমানো হচ্ছে না। ফলে শ্রমিকরা অনাহারে থাকছে। এটা হতে দেওয়া যায় না। এ বিষয়ে আমি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করব। সরকারি পাটকলগুলোর এই দুরবস্থা কাটানো দরকার।

এর আগে মতবিনিময়কালে রাজশাহী জুট মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জিল্লুর রহমান ফজলে হোসেন বাদশাকে জানান, রাজশাহী জুট মিলের কর্মচারীরা চার মাস বেতন পাননি। আর শ্রমিকরা মজুরি পাননি ১২ সপ্তাহের। কর্মকর্তাদেরও বেতন বাকি পাঁচ মাসের। বেতন না হওয়ায় সবাই বেকায়দায় পড়েছেন। বিশেষ করে সামান্য মজুরির শ্রমিকরা জীবনের এক চরম দুঃসময় পার করছেন। তাদের ঈদ এগিয়ে আসছে অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে। তাই আগামী সোমবারের মধ্যে তারা বেতন-ভাতা পরিশোধের সরকারি ঘোষণা চাইছেন। তা না হলে ওই দিন থেকেই তারা টানা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ফজলে হোসেন বাদশা শ্রমিকদের বলেন, সরকার সোমবারের মধ্যেই বিষয়টার সমাধান করবে বলে তিনি আশা করছেন। ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগেই যেন শ্রমিকদের বেদন-ভাতা পরিশোধ করা হয়, তিনি সেই দাবি জানাবেন। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা না হলে তাদের আন্দোলন হবে যৌক্তিক। এই আন্দোলনে তারও সমর্থন থাকবে। শ্রমিকরা যদি এ আন্দোলনে ডাকেন, তবে তিনি নিজেও এসে শ্রমিকদের সঙ্গে রাস্তায় বসবেন।

রাজশাহী জুট মিলের সভাকক্ষে ওই সভা হয়। এতে জুট মিলের প্রকল্প প্রধান আমিনুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামানিক দেবু, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসিত পালসহ জুট মিলের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/রাজশাহী/১১ মে ২০১৯/তানজিমুল হক/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়