ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পাবনায় ঈদের বিকিকিনি জমে উঠেছে

শাহীন রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১৯ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পাবনায় ঈদের বিকিকিনি জমে উঠেছে

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় রমজানের শেষ সময়ে এসে ঈদের বাজারে বিকিকিনি জমে উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন কেনাকাটায়।

দোকানিরা নতুন নতুন সামগ্রীতে সাজিয়েছেন, ক্রেতারাও আসছেন নতুন ডিজাইনের পোশাক কেনার জন্য। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।

পাবনা শহর ঘুরে দেখা গেছে, নিউমার্কেট, রবিউল মার্কেট, খান বাহাদুর শপিংমল, স্টার কমপ্লেক্স, হাজী মার্কেট, হুমায়রা মার্কেট, সেভেন স্টার, এআর প্লাজা, এআর কর্ণার, নিউ পয়েন্ট, পৌর হকার্স মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, আওরঙ্গজেব সড়ক, মহিলা কলেজ রোডসহ বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটের মিনা ফেব্রিক্স, গ্রামীণ চেক, বৃষ্টি ফেব্রিক্স, গাঁওগেরাম, আঁচল, শিল্পআঙ্গিনা, ফ্যাশন টাচ, আলাল, অপরূপা, প্রজাপতি, আকাশ, কালেকশনসহ বিভিন্ন দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। পছন্দের পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ক্রেতারা খুঁজে ফিরছেন।



গত ঈদের চেয়ে এবার পোশাকের দাম একটু বেশিই বলে জানালেন ক্রেতারা। অল্প আয়ের মানুষ মার্কেটে এসে পোশাক কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। যারা শপিংমলে যেতে পারছেন না, তারা ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানে। কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি স্যান্ডেল, প্রসাধনী ও স্টেশনারির দোকানে ভিড় বাড়ছে।

শহরের বৃহৎ টেইলার্স বাবুল টেইলার্সের পরিচালক শাহজাহান আলী বাবুল জানান, এ বছর রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে পোশাক তৈরির অর্ডার পাওয়া গেছে। গত বছর তার টেইলার্সে ২৫০০ প্যান্ট এবং ২৭০০ শার্ট তৈরির অর্ডার নিয়েছিলেন। এবার আরো বেশি অর্ডার হবে বলে তিনি আশা করছেন। বর্তমানে ৩৫ জন কারিগর দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন তার টেইলার্সে।

গত ঈদে ভারতীয় সিরিয়ালের নায়িকার নামানুসারে বিভিন্ন পোশাকের জন্য ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়লেও পাবনার ক্রেতারা এবার ঝুঁকেছেন দেশি পোশাকের দিকে। সাধ্যের মধ্যে সমন্বয় করে ক্রেতারা পোশাক কিনছেন। গৃহিণীদের পছন্দ জামদানি ও দেশীয় সুতির শাড়ি। শহরের সব কয়টি বিপণিবিতানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। পছন্দের পোশাক কিনতে বিভিন্ন বয়সি নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর আর তরুণ-তরুণীর পদচারণায় মুখর মার্কেটগুলো।



বিক্রেতারা জানান, কেনাবেচা বেশ ভালো। অনেক সুন্দর সুন্দর ড্রেস এসেছে বাজারে। দামও খুব বেশি না, অনেক চলছে। প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। মহিলা ক্রেতাদের পছন্দের শাড়ির মধ্যে জামদানি বেশি চলছে। তবে সবচেয়ে চলছে দেশীয় সুতির শাড়ি।

বিক্রেতারা বলছেন, এবার দেশি পোশাকের চাহিদা ক্রেতাদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে।

ক্রেতারা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেনাকাটা করতে পারেন, সেইজন্য বিভিন্ন মার্কেটে ও এর আশপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।




রাইজিংবিডি/পাবনা/১৯ জুন ২০১৭/শাহীন রহমান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়