ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বর্ষবরণে পদ্মার দ্বীপে বর্ণিল আয়োজন

তানজিমুল হক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০০, ১১ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বর্ষবরণে পদ্মার দ্বীপে বর্ণিল আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। দিনটির মাত্র দুই দিন বাকি। নতুন বছরকে বরণ করতে নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সকলেই চাইছেন একটু ভিন্নভাবে ভিন্ন আদলে নতুন বছরকে বরণ করতে। পিছিয়ে নেই রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। ব্যতিক্রমী আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করতে চাইছেন তারা।

এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে গোদাগাড়ী মডেল থানার সামনে পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা চরে বৈশাখী মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুল্ক মৌসুমে পানি কমে পদ্মা নদীর মাঝে ও দুই পাড়ে জেগে উঠেছে চর। আর এসব চর পরিণত হয়েছে ছোট, বড় আর মাঝারিসহ বিভিন্ন আকারের দ্বীপে।

প্রতিদিন এইসব দ্বীপ দেখার জন্য নদীর পাড়ে ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা।  দর্শনার্থীরা যেন মনোরম পরিবেশে পদ্মা নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পারেন, এ জন্য চরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দ্বীপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ছোট-বড় দ্বীপে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন আকারের মঞ্চ। লাগানো হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রঙের বাতি। সন্ধ্যার পর এ এলাকাটি দেখার জন্য ভিড় করছেন মানুষ। আলোকিত হয়েছে উঠেছে পদ্মার চর।

আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আকবর আলী বলেন, সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বৈশাখী মেলা। ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলার প্রবেশ পথ খোলা থাকবে। বৈশাখী মেলায় খাবার ও মনোহারী সামগ্রীর দোকান ছাড়াও ছোট-বড় সবার জন্য মিনি সার্কাস, মিউজিক শো, নাগর দোলা, ট্রেন, মোটরসাইকেল খেলা, র‌্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলার মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া পদ্মায় ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন ধরনের নৌকা রয়েছে।

মেলা উদ্বোধনের দিন নৌকাবাইচ ও হা ডু ডু খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে বৈশাখী মেলার ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমবারের মতো পদ্মা নদীর দ্বীপে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সংসদ সদস্য  ওমর ফারুক চৌধুরী।

বৈশাখী উৎসব উদযাপন করতে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ইলিশ ও পান্তা ভাতের আয়োজনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ নেওয়াজ বলেন, বৈশাখের উৎসব উদযাপন করা হবে সুশৃঙ্খল ও আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে। আর এ জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।



রাইজিংবিডি/রাজশাহী/১১ এপ্রিল ২০১৭/তানজিমুল হক/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়