রাজধানীতে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ প্রদর্শনী শুরু
নিয়াজ || রাইজিংবিডি.কম
আমির হোসেন আমু
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : রাজধানীতে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং মেশিনারিজ প্রদর্শনী-২০১৬। বুধবার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বিশ্বের ২২টি দেশ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। প্রদর্শনীতে চার শতাধিক স্টল রয়েছে। এসব স্টলে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ, প্যাকেজিং, লেবেল, স্যুয়িং, নিটিং, এমব্রয়ডারি, লন্ড্রি, ফিনিশিং, ডাইং, প্রিন্টিং, কাটিং, স্প্রেডিং মেশিনারি ও পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এবং ভারতের এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন (প্রা:) লিমিটেড যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু জানিয়েছেন, গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট ও টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দ দিতে ইতিমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বিসিককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এর অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে তৈরি পোশাক শিল্পখাতের পশ্চাৎ সংযোগ হিসেবে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতে আধুনিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আয় সম্ভব হবে।’
তিনি যেখানে-সেখানে কারখানা স্থাপন না করে পরিকল্পিতভাবে পরিবেশবান্ধব গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্প গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। নতুন জাতীয় শিল্পনীতিতে এ শিল্পকে অগ্রাধিকার শিল্পখাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জাতীয় অর্থনীতিতে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের অবদান সম্পর্কে তুলে ধরেন। তারা বলেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে মূল্য সংযোজন ও লিড টাইম কমাতে এ শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ খাতের প্রায় ১ হাজার ৪০০ কারখানা ৩৫ ধরনের গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন করছে। আমদানিবিকল্প এসব পণ্য ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক সহজেই রপ্তানি বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সক্ষম হচ্ছে। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে এ খাত থেকে ৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হয়েছে বলে তারা জানান।
বিজিএপিএমইএর প্রেসিডেন্ট রাফেজ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, এফবিসিসিআইর প্রথম সহসভাপতি শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন (প্রা.) লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল কে., বিজিএপিএমইএর প্রথম সহসভাপতি শাহাজাদা মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পকে এসএমই খাতের আওতাভুক্ত করে সরকারের নীতি সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। তারা রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে এ খাতে প্রণোদনা বৃদ্ধি এবং একে অগ্রাধিকার শিল্পখাত হিসেবে নতুন শিল্পনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জানুয়ারি ২০১৬/নিয়াজ/রফিক
রাইজিংবিডি.কম