ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রূপগঞ্জে আ.লীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ: পৃথক ২ মামলা

হাসান উল রাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রূপগঞ্জে আ.লীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ: পৃথক ২ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগ কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

নিহত যুবলীগ কর্মী সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ও ওরফে আন্ডা রফিকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

সুমন মিয়ার শাশুড়ি কাজল রেখা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে একই রাতেই রূপগঞ্জ থানা পুলিশ পৃথক একটি মামলা করেছে।

এসআই হুমায়ুন বাদি হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২ হাজার জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন।

পুলিশের মামলায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিককে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া রফিকের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম, তারাবো পৌরসভা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আউয়াল, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাছুম চৌধুরি অপু, আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন, তারাবো পৌরসভার ছয় নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বায়োজিদ, নবী হোসেন, রনি, দুলাল, হানিফাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিহত যুবলীগ কর্মী সুমনের পরিবারের মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, উল্লিখিত আসামিরা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নির্দেশে সুমন মিয়াকে মারধর ও এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করেছে। 

জেলা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেছে। এজাহারভুক্ত এক আসামি বায়েজিতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী সমর্থক ও কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার এবং একই স্থানে অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় সুমনসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ এবং ২০ জন আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যুবলীগ কর্মী সুমন মিয়ার মৃত্যু হয়।



রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/৯ ফেব্রুয়ারি ১৮/হাসান উল রাকিব/মুশিফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়