ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শেখ জামালের আশা বাঁচিয়ে রাখলেন তানবীর

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ২ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শেখ জামালের আশা বাঁচিয়ে রাখলেন তানবীর

অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন তানবীর হায়দার। ছবি: জনি সোম

ক্রীড়া প্রতিবেদক : শেষ উইকেটে দারুণ এক জুটিতে চেষ্টা করেছিলেন আরাফাত সানী ও সালাউদ্দিন শাকিল। কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না। তানবীর হায়দারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরকে ১০ রানে হারিয়ে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা আশা বাঁচিয়ে রাখল শেখ জামাল।

সাভারের বিকেএসপিতে সোমবার লো স্কোরিং ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ ওভারে ১৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায় শেখ জামাল। জবাবে ৪৮.২ ওভারে দোলেশ্বরের ইনিংস থামে ১৭৩ রানে।

মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় ২২ রানেই দুই ওপেনার লিটন দাস ও ইমতিয়াজ হোসেনের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দোলেশ্বর। দুজনই বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর শিকার। লিটন (১) হয়েছেন স্টাম্পড, ইমতিয়াজ (১৪) এলবিডব্লিউ।



তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েছিলেন ফজলে মাহমুদ ও মার্শাল আইয়ুব। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দোলেশ্বরের ব্যাটিং লাইনআপ। ২ উইকেটে ৭০ থেকে স্কোর হয়ে যায় ৯ উইকেটে ১০৬। ৩৬ রানেই নেই ৭ উইকেট!

মার্শালকে (২৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইলিয়াস সানী। ১ বল খেলে রান আউট হয়ে ফেরেন ফরহাদ হোসেন। এরপর নিজের টানা তিন ওভারে ফজলে মাহমুদ (৩৫), শরীফুল্লাহ ও ফরহাদ রেজাকে ফিরিয়ে দেন তানবীর। এই লেগ স্পিনার নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন নাসুম আহমেদকে ফেরালেন, তখনো জয়ের জন্য ৯৮ বলে ৭৮ রান দরকার দোলেশ্বরের।



এরপরই শুরু আরাফাত সানী ও শাকিলের লড়াই। দুজন একটু একটু করে এগিয়ে নেন দলকে। একটা সময় এ জুটি পার করে পঞ্চাশ। তাতে দারুণ জমে ওঠে ম্যাচ।

শেষ ১২ বলে ১১ রান দরকার ছিল দোলেশ্বরের। ম্যাচে তখন নখ কামড়ানো উত্তেজনা। কিন্তু ৪৯তম ওভারে ভুলটা করে বসলেন শাকিল। রবিউল হকের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ দিলেন বোলারকেই। ৬৭ রানের শেষ উইকেট জুটি ভেঙে আশা বাঁচিয়ে রাখে শেখ জামাল। শাকিল করেন ৩১ রান, সানী অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে।

১০ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শেখ জামালের জয়ের নায়ক তানবীর। ৩৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন অপু। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আবু জায়েদ, ইলিয়াস সানী ও রবিউল।



এর আগে ব্যাট হাতেও শেখ জামালের ত্রাতা ছিলেন তানবীর। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩* রান আসে তার ব্যাট থেকেই। জিয়াউর রহমান ২৯ বলে করেন ৩৯ রান। দলের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। কিন্তু তানবীর ও জিয়া ছাড়া আর কেউই ত্রিশ পার করতে পারেননি। দল ২৩ রানে হারিয়েছিল শেষ ৬ উইকেট! ম্যাচ শেষে সেই হতাশা আর থাকেনি।

সুপার লিগের এই জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তিনে আছে শেখ জামাল। দুইয়ে থাকা লিজেডস অব রূপগঞ্জের পয়েন্টও ২০। ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আবাহনী। লিগের বাকি আর এক রাউন্ড।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ এপ্রিল ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়