ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আইডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ৪ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আইডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক

বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংককে (আইডিবি) পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর পেছনে আইডিবি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এজন্য বাংলাদেশের জনগণ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষ থেকে আইডিবি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টায় অর্থমন্ত্রী আইডিবির প্রেসিডেন্ট বন্দর এমএইচ হাজ্জাজের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বর্তমানে আইডিবির ৪৩তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে অবস্থান করছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এছাড়া আইনশঙ্খলা  পরিস্থিতি যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গতি ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, সরকারের গণমুখী নীতিমালার ফলশ্রুতিতে বেসরকারি খাত অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখজনক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ এখন বিদেশ বিনিয়োগের জন্য উৎকৃষ্ট স্থান। বিণিয়োগকারীদের জন্য সরকার নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এ সময় তিনি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের বিষয়টি তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) অন্য দাতা সংস্থার অর্থ ছাড়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন,  দাতা সংস্থার ঋণের অর্থ ছাড়ের চেয়ে আইডিবির অর্থ ছাড়ের গতি অনেকটা শ্লথ। এ কারণে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সময়মত সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। তিনি এ সমস্যা সমাধানে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইডিবির প্রেসিডেন্ট বিষয়টি শোনেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় আইডিবি প্রেসিডেন্ট আঞ্চলিক অফিসগুলোকে আরো ক্ষমতা দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন।

এ সময় অর্থমন্ত্রী বিষয়টি দ্রত সমাধানের কথা উল্লেখ করেন এবং আগামী জুনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে যাতে বিষয়টি তুলে ধরা যায় সে বিষয়ে আইডিবি প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ  করেন। আইডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠককালে অর্থমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে অত্যাচারিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিকদের সমস্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী তার আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য আইডিবি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। অর্থমন্ত্রী তার আলোচনায় রোহিঙ্গা নিধনকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করলে আইডিবি প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা মুসলমানদের অত্যাচারের নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বহু দেশের এবং জাতিসংঘ সংস্থা পাশাপাশি মুসলিম দেশসমূহের সহযোগিতার জন্য অর্থমন্ত্রী সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন। আইডিবির প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ এপ্রিল ২০১৮/হাসনাত/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়