ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দেশব্যাপী ওয়ালটনের জনসচেতনামূলক কার্যক্রম

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫৯, ২২ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশব্যাপী ওয়ালটনের জনসচেতনামূলক কার্যক্রম

আবু বকর ইয়ামিন : চালক ও যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে চলেছে ওয়ালটন। এবার কার্যক্রমে যোগ হলো নতুন মাত্রা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পর এবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্ল্যাক স্পটগুলোতে মেগা সাইনবোর্ড স্থাপন করলো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি। সারাদেশেই পরিচালিত হবে এই জনসচেতনামূলক কার্যক্রম।

দেশের সেরা ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন সবসময়  জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এই কার্যক্রম বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করেন হাইওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আতিকুল ইসলাম পিপিএম। নরসিংদী  জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের একটি ব্ল্যাক স্পটে মেগা সাইনবোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় ওয়ালটন গ্রুপের স্ট্যাটিক অ্যাড অ্যান্ড বিউটিফিকেশন বিভাগের সিনিয়র এডিশনাল ডাইরেক্টর মো. শাহজাদা সেলিম, হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুরের রিজিওনের পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মো. আতিকুল ইসলাম পিপিএম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সারাদেশের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছি। দুর্ঘটনারোধে সারাদেশে ধারাবাহিকভাবে এসব সচেতনতামূলক মেগা সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে। হাইওয়েতে এ ধরনের মেগা সাইনবোর্ডে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়ার ফলে মহাসড়কের ব্ল্যাক স্পটগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা আগের থেকে অনেক কমে যাবে বলে আশা করছি। এক্ষেত্রে ওয়ালটনের মতো দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। জনসচেতনতামূলক এসব কর্মকাণ্ডে ওয়ালটন এগিয়ে আসায় আমরা কৃতজ্ঞ। প্রতিষ্ঠানটি অনেক আগে থেকেই আমাদের সহযোগিতা করে আসছে। আশা করছি, তারা তাদের এ কার্যক্রম ও সহযোগিতা আগামীতে অব্যাহত রাখবে।

মো. শাহজাদা সেলিম দড়িকান্দি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয়, কোনো সন্তান যেন এতিম না হয়, কোনো পরিবার যেন নিঃস্ব না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে ওয়ালটন। ধারাবাহিকভাবে আমাদের এ কার্যক্রম দেশব্যাপী চলবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা (ওয়ালটন) শুধু ব্যবসায়িক মনোভাব নয়, সমাজের মানুষের উন্নয়নে ও সমাজে সচেতনতা বাড়নোর লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে থাকি। এ কার্যক্রম তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। এর আগেও আমরা দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশের সঙ্গে মিলে এ ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি এবং আগামীতেও করে যাব। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যেকটি জেলায় সড়কের ব্ল্যাক স্পটগুলোতে এ ধরনের মেগা সাইনবোর্ড স্থাপন করা।’

দুর্ঘটনা রোধে সবার সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, যাত্রীদের উচিত চালকদের যেন জোরে চালাতে উৎসাহিত না করি। রাস্তা পারাপারের সময় মোবাইলে কথা না বলা, রাস্তার দুইপাশ দেখে পার হওয়া উচিত। দুর্ঘটনা রোধে রাস্তার দুই প্রান্তে দুইটি পুলিশ চেক পোস্ট দেওয়া যেতে পারে। সিসিটিভির মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত  গাড়ি সনাক্ত করা সহজ হবে। হাইওয়ে পুলিশ চাইলে ওয়ালটন সে ব্যাপারে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে সকল প্রকার কাজ করতে আগ্রহী ওয়ালটন।

এ সময় হাইওয়ে পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেগা সাইনবোর্ড স্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ এপ্রিল ২০১৭/ইয়ামিন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়