ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আট লাখ নিহতকে স্মরণ করছে রুয়ান্ডা

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আট লাখ নিহতকে স্মরণ করছে রুয়ান্ডা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২৫ বছর আগে গণহত্যায় নিহত আট লাখ মানুষকে স্মরণ করছে রুয়ান্ডা। নিহতদের স্মরণে ১০০ দিনের শোক পালন করবে আফ্রিকার এই দেশটি।

১৯৯৪ সালে মাত্র ১০০ দিনের মধ্যে রুন্ডায় আট লাখ মানুষ হত্যা করেছিল হুতু চরমপন্থিরা। তাদের শিকার ছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সংখ্যালঘু টুটসি সম্প্রদায়ের মানুষ।

১৯৯৪ সালে টুটসি বিদ্রোহীদের নেতৃত্বদানকারী এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট পল কাগামে রাজধানী কিগালিতে স্মৃতিসৌধে আলোক প্রজ্জলনের মাধ্যমে স্মরণ উৎসবের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে একাধিক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নিতে যাচ্ছেন। তবে এদের অধিকাংশই আফ্রিকার। সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক বেলজিয়ামের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল।

১৯৫৯ সালে প্রথমবারের মতো হুতু ও টুটসিদের মধ্যে দাঙ্গা বাধে। তখন হাজার হাজার টুটসি প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যায়। নিবর্বাসিত টুটসির একটি দল রোয়ান্ডান প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট (আরপিএফ) নামে বিদ্রোহী একটি বাহিনী গঠন করে। ১৯৯৪ সালের ৮ এপ্রিল রাতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবিয়ারিমানা এবং বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট সাইপ্রিয়েন নটারিয়ামিনা বহনকারী বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। এরা দুজনই ছিলেন হুতু সম্প্রদায়ের। এই ঘটনার জন্য আরপিএফকে দায়ী করে হুতুরা। এরপরই সরকারের সহযোগিতায় টুটসিদের গণহত্যায় নামে হুতুরা। মাত্র ১০০ দিনে হত্যা করা হয় আট লাখ টুটসিকে। শেষ পর্যন্ত আরপিএফ উগান্ডার সেনাবাহিনীর সহায়তায় রুয়ান্ডার বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নেয়। এরপরই অবসান ঘটে এই গণহত্যার।

এ গণহত্যার জন্য পরোক্ষভাবে ফ্রান্সকে দায়ী করা হয়। রুয়ান্ডার  প্রেসিডেন্ট পল কাগামে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন , তৎকালীন ফরাসি সরকার গণহত্যাকারীদের মদদ দিয়েছিল। এমনকি তারা হুতু মিলিশিয়াদের প্রশিক্ষণও দিয়েছিল। ফ্রান্স অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ এপ্রিল ২০১৯/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়