ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় গম চাষে ‘না’

এম এ মামুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ৭ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চুয়াডাঙ্গায় গম চাষে ‘না’

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গায় কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করছে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। নিরুৎসাহিত করার কারণ, গম খেতে ছত্রাকজনিত রোগ ব্লাস্ট এর আক্রমন।

জানা যায়, নেক ব্লাস্ট ও হেড ব্লাস্ট নামের ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার অনেক গম খেত। এরই মধ্যে অন্তত ১০ হেক্টর জমির গম নেক ব্লাস্ট ও হেড ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিন মাঠের কোন না কোন গম খেত এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের লোকজন এর থেকে মুক্তির উপায়ও দেখাতে পারছে না। ফলে এসব গম চাষিরা এখন চরম হতাশ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভাষ্য, গত দুই বছর ধরে গমে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষকদের গম চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জন সচেতনা গড়তে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিলিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কৃষকদের মাঝে গম বীজ বিক্রি বন্ধ রাখতে ডিলার ও ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আর এ কারণে গত দুই বছরে জেলায় গম চাষ কয়েক গুণ হ্রাস পয়েছে। কৃষকরা মাঠে যে গম চাষ করছে তা একান্তই নিজেদের উদ্যোগে।
 


এই রোগদ্বয় সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্যাখা হচ্ছে, এক সপ্তাহ আগে জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পর দিনের বেলা গরম আর রাতে ঠান্ডা পড়ায় গম নেক ব্লাস্ট ও হেড ব্লাস্টে আক্রান্ত হচ্ছে। নেক ব্লাস্টে গম গাছের কাণ্ড কালো হয়ে গমের ফল পড়ে যায়। আর হেড ব্লাস্টে ছত্রাক গমের শীষের উপরের অংশ থেকে শুকাতে শুরু করে নিচের অংশ পর্যন্ত শুকিয়ে যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলায় ৬৭০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২৯ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৮৯ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ২১২ হেক্টর ও জীবননগর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হচ্ছে।

কৃষকরা বলছেন, গম চাষ করছি বাড়ির খাবারের জন্য। কারণ দেশি গমের আটায় তৈরি খাবার ভাল হয়। কিন্তু গমের শীষ শুকিয়ে যাওয়ায় গম চিটে হচ্ছে।



রাইজিংবিডি/চুয়াডাঙ্গা/৭ মার্চ ২০১৮/এম এ মামুন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়