ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ওষুধ খাচ্ছেন না খালেদা জিয়া’

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০০, ৫ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওষুধ খাচ্ছেন না খালেদা জিয়া’

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আরথ্রাইটিস রোগে ভুগছেন। কিন্তু তিনি ওষুধ খাচ্ছেন না বলে আদালতকে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারে অস্থায়ী আদালতে ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানিতে তিনি এ তথ্য জানান।

এদিন মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার নির্দেশও ছিল। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করেনি।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, এই মামলার দুজন আসামি আদালতে উপস্থিত আছেন। অপর আসামি খালেদা জিয়া অনুপস্থিত রয়েছেন। অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তিনি আরথ্রাইটিস রোগে ভুগছেন। তার চিকিৎসার জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ড তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন বোর্ডের চিকিৎসা নিবেন না। তাকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিতে হবে। ব্যক্তিগত চিকিৎসক দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

মামলাটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরিচালনা করা যেতে পারে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করার একটা চিন্তা-ভাবনা করছেন বলে জানান মোশাররফ হোসেন। আর এজন্য তার একটা আবেদন করবেন বলেও জানান।

খালেদা জিয়া অসুস্থ, এজন্য আজ একটা তারিখ দেওয়ার প্রার্থনা করেন মোশাররফ হোসেন। তিনি আসলে মামলা পরিচালনা করবেন বলেও জানান তিনি।

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন। একই সঙ্গে এক মাসের সময় চাওয়া হয়। আর আব্দুর রেজ্জাক খান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলা পরিচালনার বিষয়ের বিরোধিতা করে বলেন, আমাদের কোর্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চলে। কোর্ট কীভাবে চলবে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শ করে ঠিক করবেন। পাবলিক প্রসিকিউটরের প্রসঙ্গ অপ্রাসঙ্গিক।

এরপর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ নয়। তখনই এর বিরোধিতা করেন রেজ্জাক খান। তিনি বলেন, আপনি এটা বলতে পারেন না।

মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আমি অবশ্যই এটা বলবো। আমি তো পাবলিক প্রসিকিউটর। আর আমার কাছে তথ্য আছে।

আব্দুর রেজ্জাক খান তখন বলেন, আপনি দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর, রাষ্ট্রের নয়।

জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর, আর আসামিও দুদকের। আমিই তো বলবো।

এরপর তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আরথ্রাইটিস রোগে ভুগছেন। আগে থেকেই তিনি আক্রান্ত। এমনটা নয় যে তিনি নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড তাকে সুস্থ ঘোষণা করেছে। বোর্ড তাকে ওষুধ দিয়েছে। কিন্তু তিনি বোর্ডের দেওয়া ওষুধ খাচ্ছেন না। ব্যক্তিগত চিকিৎসক চেয়েছেন, আমরা তাকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক দেওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি।

এরপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২২ এপ্রিল ধার্য করেন। আর ওই তারিখ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিকে মামলা শেষে খালেদা জিয়া ওষুধ খাচ্ছেন না-মোশাররফ হোসেন কাজলের এ ধরনের বক্তব্যের বিরোধিতা করে আব্দুর রেজ্জাক খান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। তিনি ওষুধ খাচ্ছেন বা না খাচ্ছেন এ কথা কারাকর্তৃপক্ষ বলতে পারেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়