ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চার জেলায় বোরো ধানে এবারও ‘ব্লাস্ট’

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৮ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চার জেলায় বোরো ধানে এবারও ‘ব্লাস্ট’

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনা ও খুলনা সংলগ্ন তিন জেলায় বোরো ধান এবারও ‘ব্লাস্ট’ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও নড়াইল এই চার জেলার ২৬২ হেক্টর জমিই এখন ‘ব্লাস্ট’ আক্রান্ত। এতে উৎপাদন কিছুটা ব্যহত হবে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, ব্লাস্টের উৎস্ হিসেবে দশ জাতের ধানের বীজকে শনাক্ত করেছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয় থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

অধিদপ্তরের খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক নিত্য রঞ্জন বিশ্বাসের পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুলনায় ২৩৭ হেক্টর, বাগেরহাটে ২৫ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট আক্রমণ করেছে। এ আক্রমনের পেছনে উৎস্ হিসেবে বলা হয়েছে, বিএডিসি’র ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-১০, ব্রি ধান-৫৮, ব্রি ধান-৬৭, বেসরকারি কোম্পানির হীরা-৪, তেজগোল্ড, সিনজেনটা-১২০১, সিনজেনটা-১২০৩ ও ময়না জাতের ধান।

স্থানীয় অপর একটি সূত্র উল্লেখ করেছে, সাতক্ষীরার তালা, কলারোয়া, নড়াইলের কালিয়া ও লোহগড়ায় ৩৪ হেক্টর জমিও ‘ব্লাস্ট’ আক্রান্ত।

খুলনার অতিরিক্ত পরিচালক জানান, খুলনার ডুমুরিয়া ও অন্যান্য স্থানে আক্রান্ত হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

নড়াইল জেলার উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় ও সাতক্ষীরা জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, ব্লাস্টে আক্রান্ত জমির মালিকদের নাটিভো, এডিফেন নামক ছত্রাক নাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের পরিদর্শন শেষে ছত্রাক নাশক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

আলোচিত চার জেলায় এবার ২ লাখ ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছর এই চার জেলায় ৯৬৮ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট আক্রমন করে। আক্রান্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে সাতক্ষীরার আশাশুনি, কলারোয়া, উপজেলা সদর, নড়াইলের কালিয়া, লোহাগড়া, খুলনার ডুমুরিয়া, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা। গত বছর ৬৪৫জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যশোরের অভয়নগর, কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলায়ও ব্লাস্ট আক্রমন করে।

খুলনার আড়ংঘাটা এলাকার কৃষক মশিউর রহমান জানান, হঠাৎ ধানের শীষ সাদা হয়ে যাচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক মইনুল ইসলাম জানান, পানি, তেলের দাম, সার, ওষুধ, রোপণ, নিরানি, চাষ বাবদ অনেক খরচ হওয়ার পর আবার ব্লাস্ট রোগের কারণে আমরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

খুলনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা কৃষকদেরকে ট্রপার, দিপা সালফাইটার দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। আর যে সব জমিতে এখনো দেখা দেয়নি সেসব জমিতে নাটিভো, সেলটিমা, ফিলিয়া স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছি।’



রাইজিংবিডি/খুলনা/৮ এপ্রিল ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়