ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

বিষয়টি শঙ্কার: হেলাল হাফিজ

কবি স্বরলিপি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিষয়টি শঙ্কার: হেলাল হাফিজ

আজ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন। এ দিন থেকেই শুরু হচ্ছে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা। গ্রন্থফুলে ছেয়ে যাবে একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। লেখক, প্রকাশক, পাঠকের মেলবন্ধন হবে এই মেলায়। লেখক, পাঠক ও প্রকাশকের এই মেলায় তাদের প্রত্যাশার কথা জানতে চেয়ে আজ আমরা কথা বলেছি কবি হেলাল হাফিজের সঙ্গে।

১৯৮৯ সালের পর আমি বইমেলায় যাইনি। এ আমার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আড়ালে থাকতে চেয়েছিলাম। বলতে গেলে ‘সাপে বর’ হয়েছে। আড়ালে সৌন্দর্য আমাকে কোনো কিছু থেকে অদৃশ্যত পৃথক হতে দেয়নি। দীর্ঘ সময় বইমেলায় যাওয়া হয় না, কিন্তু আমার কাঙ্ক্ষিত বইমেলার একটা চিত্র যে মনের মধ্যে আঁকিনি তা কিন্তু নয়। আমার সব সময় মনে হয়, বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে অনেক বড় একটা মাঠে। সব কিছু এক জায়গায় থাকবে। প্রতিটি স্টলের সামনে পর্যাপ্ত জায়গা থাকবে। তাহলে লেখক, প্রকাশক, পাঠকের উপস্থিতি হট্টগোল মনে হবে না। পরিবেশটা থাকবে নিরিবিলি।

নির্ভয়ে লোকজন চলাফেরা করতে পারবে। বর্তমানে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা হয়। বিষয়টি খারাপ নয়। তবে আরো একটা জায়গা যোগ করা যেতে পারে, তা হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠ। লোকজন ঘুরে ঘুরে বই কিনবে-দেখবে।

শুনছি এবার পুলিশ বই দেখবে, খুঁজবে কোনো লেখায় ধর্মীয় আঘাত করে কিছু লেখা হয়েছে কিনা। বিষয়টি শঙ্কার! মেলায় এ ধরনের ‘পুলিশি তৎপরতা’ আমি চাই না। মেধার সুস্থ চর্চা হোক, শিল্প বাঁচুক, মানুষ নিজের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাক সাহিত্যে। বইমেলা হোক মেলবন্ধনের মাধ্যম।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়