রজনীগন্ধাপুর : নবম পর্ব
|| ইমদাদুল হক মিলন ||
সামনে হাতের ডানদিকে তিন চারটা তেঁতুল গাছ। বিশাল বিশাল গাছ। তেঁতুলের একেবারে বন হয়ে আছে। ঝিরঝিরে পাতা নাচছে হাওয়ায়। রোদে ঝলমল করছে মাথার ওপরটা। আকাশ ভরা রোদ। তেঁতুল তলায় মিষ্টি এক টুকরো ছায়া পড়ে আছে। নরম সুন্দর ঘাসগুলো তেমন বড় হয়নি। যেন সবুজ একখানা গালিচা পাতা।
মিলিয়া বলল, চলো ওখানটায় বসি।
হ্যাঁ ওখানটায় বসি। খুব সুন্দর জায়গাটা। ছবির মতো।
দূর থেকে দেখেই মনে হচ্ছে ভারি রোমান্টিক জায়গা।
সত্যি তাই।
ওরা তেঁতুলতলায় এল। পাশাপাশি বসে পড়ল দুজন।
মিলিয়া আরামের একটা শ্বাস ফেলল। খুব ভালো লাগছে আমার। খুব ভাল। এ রকম পরিবেশে আমার কখনও আসা হয়নি।
দিপুর সঙ্গে আসোনি?
আরে না। ওর কি সময় ছিল নাকি যে আমাকে নিয়ে এমন কোনও জায়গায় আসবে!
তোমরা তো মাঝে মাঝে ঢাকার বাইরে বেড়াতে যেতে!
তা গিয়েছি। কিন্তু এ রকম কোনও জায়গায় যাওয়া হয়নি।
তুমি দিপুকে মিস করো না?
মিলিয়া জামির চোখের দিকে তাকালো। এ রকম সুন্দর রোমান্টিক পরিবেশে প্রেমিকের সঙ্গে এসে আমি স্বামীর কথা ভাবতে চাই না।
সে তোমার প্রেমিকও ছিল।
তা ছিল। আমি তার স্মৃতিতে এখন ডুবতে চাইছি না।
জামি ঠাট্টার গলায় বলল, তাহলে কিসে ডুবতে চাও?
তোমার প্রেমে। শুধুই তোমার সঙ্গে প্রেম করবো, আর কিছু না। বুঝলে?
জামির কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ল মিলিয়া।
জামি তার গালে গলায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল, তোমার হাতে একটা বই থাকলে হতো। ইংরেজি পেপারব্যাক। আর পেটটা উঁচু থাকলে...
ও বুঝেছি। তুমি ‘নাটিংহিল’ সিনেমাটার কথা বলছো?
হ্যাঁ। পার্কের বেঞ্চে এভাবে স্বামী এবং প্রেমিকের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছ জুলিয়া রবার্টস। হাতে পেপারব্যাক, পেট উঁচু। অর্থাৎ আবার বাচ্চা হবে। আর ওদের দুটো না তিনটা বাচ্চা মাঠে ছুটোছুটি করছে।
হ্যাঁ। ভারি মিষ্টি প্রেমের ছবি।
দুজনেই যেন একটু উদাস হল। গাছপালার ফাঁক ফোকড় দিয়ে দূরের মাঠের দিকে তাকিয়ে রইল জামি। তার কোলে মাথা দিয়ে মিলিয়া দেখছে তেঁতুলের পুরনো গাছ, ঝিরঝিরে পাতা আর তার ওপরকার আকাশ।
জামির যে হাত মিলিয়ার গালে গলায় সেই হাত দুহাতে ধরল সে। লিনা ভাবির কথা বলছো না কেন?
মিলিয়ার মুখের দিকে তাকালো জামি। প্রত্যেকের জীবনেই গল্প আছে। কারওটা খুবই জমজমাট, কারওটা সাদামাটা। কে একজন যেন বলেছিলেন প্রত্যেক মানুষই চাইলে একটা উপন্যাস অন্তত লিখতে পারে। তার নিজের জীবনের গল্পটা, নিজের জীবনের কাহিনি লিখলেই উপন্যাস হয়ে যায়।
তা ঠিক। প্রত্যেকের জীবনেই গল্প আছে।
আমি তাহলে গল্পের মতো করেই বলি।
বলো। তোমার গল্প বলার ভঙ্গি খুব সুন্দর।
আর কী কী সুন্দর?
বলবো না। গল্পটা বলো।
শওকত নামের এক ভদ্রলোক বিজনেসে ধা ধা করে উন্নতি করেছেন। ব্যবসা শুরুর দশ বারো বছরের মধ্যে বিশাল বড়লোক হয়ে উঠেছেন। গুলশানে ফ্ল্যাট, অফিস। দামি পাজেরো জিপ চালান। মানে স্বপ্নের মতো ব্যাপার। তবে সংসারে শান্তি নেই ভদ্রলোকের। ব্যবসা শুরুর আগেই বিয়ে করে ফেলেছিলেন। ছোট্ট একটা মেয়ে আছে। স্ত্রী ক্রেজি টাইপের মহিলা। সাইকিক। এই ভাল, এই খারাপ। মেয়ে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। সেই শিশু দেখছে মা বাবার প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া হচ্ছে। মা-ই ঝগড়াটা বেশি করে। কারণে অকারণে। মেয়ের সঙ্গেও তার ব্যবহার ঠিক নেই। স্বামী সন্তান দুজনকেই সে এক ধরনের টর্চার করে। ফলে মেয়ে ঝুঁকে থাকে বাপের দিকে, বাপ থাকে মেয়ের দিকে। একদিকে মেয়ে আরেকদিকে বিজনেস। দিন যায়। স্ত্রীর সমস্যা বাড়ছেই। নানা ধরনের চিকিৎসা চলছে। দেশে বিদেশে। কিন্তু চেঞ্জ নেই। শওকত খুবই ফ্রাসট্রেইটেড। মেয়ে বড় হচ্ছে। স্কলাসটিকায় পড়ছে। সংসারের এই অবস্থা দেখে সে বখে যায় কি না শওকতের শুধু এই ভয়। বাড়িতে যতটা পারে মেয়েকে সে সময় দেয়। বাইরেও দেয়। প্রায়ই মেয়ের স্কুল ছুটির সময় তার কাছে যায়। মেয়েকে নিয়ে বাইরে দুপুরের খাবার সেরে নেয়। বাপ মেয়ের অদ্ভুত সম্পর্ক।
মেয়ে বড় হয়েছে। সে বোঝে সবই। বাবাকে বলে, এই জীবনটা তুমি কেন মেনে নিচ্ছো বাবা? মা’র সঙ্গে জীবন তুমি কাটাতে পারবে না। তুমি আরেকটা বিয়ে করো। মাকে ডিভোর্স দাও। সে থাকুক তার মতো, তুমি তোমার মতো।
আর তুমি?
আমাকে বিদেশে পাঠিয়ে দাও পড়তে।
কোথায় যেতে চাও?
আমেরিকায়।
একা তোমাকে যে আমি পাঠাতে চাই না।
কেন?
আমার মেয়ে কোথায় একা পড়ে থাকবে...
বুঝেছি। তুমি আমাকে বিয়ে দিয়েও পাঠাতে পারো।
এইটুকু মেয়ের কী বিয়ে দেবো?
এ লেবেল শেষ হলে বিয়ে দিয়ে দাও। দুজন আমেরিকায় গিয়ে পড়ি। গ্রাজুয়েশান শেষ করার পর বিজনেস করবো।
তুমিও বিজনেস করতে চাও?
হ্যাঁ। আমি তোমার মেয়ে। আমার তো বিজনেসই করা উচিত।
অনেকক্ষণ পর কথা বলল মিলিয়া। তার মানে শওকত ভাই তাঁর মেয়েটিকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দিলেন?
হ্যাঁ। বোধহয় মেয়ের বয়স তখন বিশ।
বরটা কেমন?
খুবই ভালো ছেলে। খুবই ব্রাইট কেরিয়ারের। দেখতেও খুব সুন্দর। আসলে মেয়ের পছন্দের ছেলে।
বুঝেছি। এজন্যই বিয়ের কথা তুলেছিল মেয়ে।
রাইট।
ইনটেলিজেন্ট মেয়ে দেখছি।
খুবই ইনটেলিজেন্ট। মেয়ের প্ল্যান মতোই তার বিয়ে দিলেন শওকত ভাই। তাদের পড়তে পাঠালেন আমেরিকায়। তখনও স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়নি। এই সময় মঞ্চে আবির্ভূত হলেন লিনা নামের অসাধারণ সুন্দরী এক নারী। তিনিও ভাল একটা পোড় জীবন ইতিমধ্যে খেয়ে ফেলেছেন।
জামির হাত আবার টেনে নিল মিলিয়া। উচ্ছল গলায় বলল, এত সুন্দর করে বলছো তুমি! খুব ভালো লাগছে শুনতে। কিন্তু এত কিছু তুমি জানলে কী করে?
বললাম না তোমাকে, মানুষের জীবনের গল্প খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করি আমি।
এসব কি শওকত ভাই বলেছেন তোমাকে?
হ্যাঁ, তাঁর মুখ থেকেই শুনেছি সব। বহুবার তাঁর গাড়িতে করে এই গ্রামে এসেছি। আসতে যেতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা। এই সময়টায় শওকত ভাই তাঁর জীবনের কথা আমাকে বলেছেন।
বলো, তারপর সম্পর্কটা হল কীভাবে?
তার আগে লিনার ফেলে আসা জীবনের কথা বলি।
বলো, বলো।
লিনা নামের অপরূপ মেয়েটি ইডেনে পড়তো। থাকতো হলে। গুণী মেয়ে। ভালো আবৃত্তি করে, অভিনয় করে। টিএসসির একটা কালচারাল গ্রুপের সঙ্গে কাজ করে। পড়ে সোসিওলজি। বেশ উচ্চাকাঙ্খি মেয়ে। জীবনে বড় হওয়ার আকাঙ্খা ব্যাপক। টাকা পয়সাঅলা লোকের সঙ্গে বিয়ে হবে। স্বামীর সঙ্গে দরকার হলে সেও বিজনেস করে টাকা বানাবে। এই স্বপ্ন। ও রকম সুন্দরী মেয়ের পিছনে তো লেগে যায় অনেক ছেলে। লিনার পিছনেও লেগেছে কয়েকজন। সে পছন্দ করলো খুব অর্ডিনারি ধরনের একটা ছেলেকে। কিন্তু ছেলেটা অবস্থাপন্ন ঘরের। পুরান ঢাকায় বাড়ি। বাড়ির ছোট ছেলে। বাবার লঞ্চ কারগোর ব্যবসা। টাকা অনেক। নাম জহির। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ফিন্যান্স না মার্কেটিংয়ে যেন পড়ে। এই ছেলেকে বিয়ে করলে লিনার স্বপ্ন পূরণ হবে। কারণ প্রপার্টি ভাগ বাটোয়ারা হলে জহির যা পাবে তাতে লিনার স্বপ্ন পূরণ হবেই। লঞ্চ কারগোর বিজনেস তারা তাদের ভাগেরটা নিয়ে আরো জমিয়ে ফেলবে।
জহির মাস্টার্স করলো আর লিনার অনার্স শেষ হয়েছে। বিয়ে করে ফেলল দুজনে। দুই পরিবারের কেউ অমত করল না বিয়েতে। জহিরদের পরিবারের করার কথাই না, এতো সুন্দরী মেয়ে! অন্যদিকে লিনার মা বাবা হাতে চাঁদ পেলেন। পিরোজপুরের মেয়ে লিনা। বাবা একেবারেই ছোট একজন কন্ট্রাক্টর। লিনা বড়। তারপর এক ভাই, এক বোন।
জামি একটু থামল। বিয়ের পর তিন চারটা বছর ভালই কাটল। লিনা আর মাস্টার্স করলো না। কনসিপ করে ফেলেছে। সুন্দর একটা ছেলে হল তাদের। তখন পারিবারিক কলহ। বাপ মারা গেছে। জহিরের কোনও বোন নেই। বড় দুভাইর হাতে বিজনেস। ছোট ভাইটিকে তারা ঠকায়। তখনও প্রপার্টি ভাগ হয়নি। ভাগ করার কথা তোললেই বড় ভাইরা টালবাহানা করে। ওসবের দরকার কি? তোর টাকা পয়সা লাগে নিচ্ছিস। বউ বাচ্চা নিয়ে ভাল চলছিস। প্রবলেম কী?
লিনা এই নিয়ে স্বামীকে চাপা দেয়। ভাইর বউদের সঙ্গে, ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি, মনোমালিন্য। ব্যাপক অশান্তি সংসারে।
তখন জহির একটা কাণ্ড করলো। চলে গেল জাপানে।
মিলিয়া অবাক। কেন?
জাপানে প্রচুর রোজগার। বছর কয়েক থেকে টাকা কামাব। এদিকে ভাইরা সংসার চলার টাকা তো লিনাকে দেবেই। আর যদি জাপানে ভালো করতে পারে জহির, তাহলে লিনাকে আর বাচ্চাকে নিয়ে যাবে। দেশ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে ওখানে ব্যবসা বাণিজ্য করে সেটেল্ড করবে। লিনা দেখলো স্বপ্নের প্রথম দরজায় সে একটা ধাক্কা খেয়েছে, এখন খুলছে দ্বিতীয় দরজা। সব গুটিয়ে যদি ওই প্ল্যান মতো জাপানের মতো দেশে জীবন কাটানো যায়...
কিন্তু এখানেও ধাক্কা। প্রথম প্রথম সবই ঠিক ছিল। জহির যোগাযোগ করছে, টাকা পাঠাচ্ছে। দুবছর পর একবার দেশেও এল। চার পাঁচ বছরের মাথায় শোনা গেল সে ওখানে নিজেকে অবিবাহিত বলে জাপানী এক মহিলাকে বিয়ে করেছে...
মিলিয়া বলল, জাপানে ইলিগ্যালি থাকে অনেকে। সতেরো আঠারো বছর ধরেও অবৈধভাবে থেকেছে অনেকে, তা আমি জানি। দিপুদের বিক্রমপুরের বহু ছেলে আছে জাপানে। কেউ কেউ ইলিগ্যাল থাকার রিস্ক না নিয়ে, দেশে বউ থাকার পরও বিয়ে করে নেয়। দেশে ব্যাপারটা জানায় না। আবার অনেক আনম্যারেড ছেলেও বিয়ে করেছে। বিক্রমপুরের অনেক গ্রামে জাপানি বউ আছে।
জহির কাণ্ডটা করেছিল ওখানে থেকে যাওয়ার আশায়। দেশের বউ বাচ্চা নেবে না। ওখানে এক সংসার, দেশে আরেক সংসার। লিনা দেখলো তার দ্বিতীয় স্বপ্নের দরজাও বন্ধ। খুবই ফ্রাসট্রেইটেড সে। পুরনো বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে, ঘুরে বেড়ায়। তারা বুদ্ধি দিল, একটা চাকরি বাকরি নে।
লিনা জানে তার চাকরি করা ভাসুররা পছন্দ করবে না, জহিরও শুনলে বিরক্ত হবে। কিন্তু জহিরের ওপর মন বিষিয়ে গেছে লিনার। জহিরের যা ইচ্ছা ভাবুক, ভাসুর জায়েরা যা ইচ্ছা ভাবুক তাতে তার কী যায় আসে! শাশুড়ি বেঁচে আছেন। তাঁর কথাও ভাবলো না। কোন সোর্স থেকে কীভাবে খবর পেয়ে গেল শওকত ভাইর অফিসে।
মিলিয়া বলল, চাকরিও হল, প্রেমও হল।
ঠিক তাই। দুজনেই পোড় খাওয়া মানুষ। একজন আঁকড়ে ধরল আরেকজনকে। একজন শান্তির জন্য আরেকজন জীবনের স্বপ্ন পূরণের জন্য।
তার মানে তৃতীয়বার স্বপ্ন পূরণ হল লিনা ভাবির।
একজাক্টলি। লেগে থাকলে কোনও না কোনওভাবে মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়। যেমন তোমার ব্যাপারে আমার হয়েছে।
তুমি তো লেগে থাকোনি। দিপু না মারা গেলে এটা কোনওদিনই হতো না।
মিলিয়ার গালে গলায় হাত বুলাতে বুলাতে জামি বলল, দিপুর কথা তোমার মনে হয় না?
কেন হবে না?
না মানে আজকাল আর তার কথা বলোই না।
বলে কী হবে?
আমার প্রায়ই মনে হয়। এক ধরনের অপরাধবোধও হয়।
অপরাধবোধ কেন?
আমাদের এই সম্পর্কের কারণে।
তোমার অপরাধবোধ হবে কেন? হওয়া উচিত আমার। প্রথমে প্রেমিক, পরে স্বামী মারা গেল আর আমি প্রেম করতে শুরু করলাম তার বন্ধুর সঙ্গে।
এই অপরাধবোধ আমারও। বন্ধু মারা গেল আর তার স্ত্রীর সঙ্গে জড়ালাম!
এসব হবেই। আমরা দুজনেই সেনসেটিভ মানুষ। এমনই আমাদের হওয়ার কথা।
তবে জড়িয়ে যখন গেলামই তখন আর পিছুটান রাখা ঠিক হয়নি।
কিসের পিছুটান?
রুবানা, আদর্শ।
মানে শওকত ভাইর মতো স্ত্রীকে ডিভোর্স করে প্রেমিকাকে বিয়ে?
হ্যাঁ। ছেলে ঠিকই থাকতো। এই জায়গাটায় শওকত ভাইর সঙ্গে আমার খুব মিল।
তাঁর মেয়ে আমেরিকায়, আর তোমার ছেলে কানাডায়।
রাইট। রুবানাও হয়তো ছেলের কাছে চলে যেতো।
বা আরেকটা বিয়ে করতো।
তা বোধহয় সে করতো না।
কেন?
দুয়েকবার এসব কথা তার সঙ্গে আমার হয়েছে।
তাই নাকি?
হ্যাঁ।
কী বলেছে?
বলেছে, পালিয়ে পালিয়ে এসব না করে মিলিয়াকে বিয়ে করে নাও। আমি চলে যাই আমার ছেলের কাছে। বলেছি, ছেলের কাছে যাবে কেন? তুমিও বিয়ে করে নিও।
সে কী বললো?
জীবনেও তা আমি করবো না। বিয়ের এক অভিজ্ঞতাতেই আমার হয়ে গেছে। দ্বিতীয়বার একই ফাঁদে আমি আর পড়তে চাই না।
চলবে...
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ মার্চ ২০১৭/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন