ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ভালোবাসা শহীদ কাদরী || নীরা কাদরী

নীরা কাদরী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:২৯, ২৬ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভালোবাসা শহীদ কাদরী || নীরা কাদরী

কোনো এক অনুষ্ঠানে হাস্যোজ্জ্বল শহীদ কাদরী ও নীরা কাদরী

খুব সম্ভবত ২০০৩ সালের মার্চ-এপ্রিলের দিকে; শহীদ তখন নিউইয়র্কে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসেছে। আর দশটা মানুষের মতোই সাধারণ মানুষ তিনি। কবি শহীদ কাদরী, আমি যেটা বার বার দেখেছি, অনেক বেশি পড়াশোনার মধ্যে থাকতেন। লেখার চাইতেও পড়াটা গুরুত্ব দিতেন বেশি। সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করতেন। বলতেন, সবই তো লেখা হয়ে গেছে, নতুন কিছু করা বেশ কঠিন। এখন যদি নতুন কোনো ফর্ম আনা যায়, তাহলে সেটা চেষ্টা করতে হবে। তিনি বিজ্ঞানমনস্ক ছিলেন; বলতেন, বিজ্ঞানে যদি নতুন কিছু আবিষ্কার হয়, তাহলে হয়ত আমরা তার সঙ্গে নতুন কিছু পাবো। এছাড়া নতুন বিষয়বস্তু আনা খুব কঠিন। চর্বিতচর্বণ করে তো লাভ নাই।

শেষদিকে সাহিত্যে নতুন কিছু আনা তাঁর নিত্য সাধনা ছিল। রিপিটেশন একদম চাইতেন না। অনেক কিছু তাঁর মাথায় আসত, তিনি সেটা মাথা থেকে নামিয়ে ফেলতেন; বলতেন, এটা লেখা হয়ে গেছে। খুবই খুঁতখুঁতে এবং সিলেক্টিভ ছিলেন। কবিতা যখন লিখতেন, কোনো কাটাকাটি থাকত না। আমি বলতাম, তোমার কবিতায় কোনো কাটাকাটি নেই যে। তিনি বলতেন, নীরা কবিতা তো কাটাকাটি করলাম মাথায়- সাতদিন ধরে! যেমন শহীদের একটা কবিতা একেবারে নতুন ফর্মে, পাঠক জানেন, শেষ লাইনটা শুধু বলি: জলে পড়ে যাওয়া ঐ পিঁপড়েটাকে ডাঙায় তুলে দিন। এটা একেবারে নতুন। আরো অনেক কবিতা আছে পূর্বে লেখা, যেটা তিনি নতুন আঙ্গিকে লিখেছেন।

আমরা কবিতাসন্ধ্যা শুরু করেছিলাম। কবিতাসন্ধ্যা শুরুর পেছনের মূল উদ্দেশ্য ছিল- শহীদ দেখছিলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবিতা পড়া হয় এবং সেগুলো অল্প কিছু সিলেক্টিভ কবিতা। শামসুর রাহমানের কিছু কবিতা আর বেশিরভাগই সুনীল-শক্তির কবিতা পড়া হতো। বাংলাদেশের কবিদের কবিতা পড়া তো দূরের কথা, অনেকে হয়ত নামটাও ঠিকমতো জানতেন না। তখন শহীদ বলল যে, আমরা শুধু কবিতার ওপরে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার একটা অনুষ্ঠান করবো- তিন মাস পরপর। নাম দেওয়া হলো ‘কবিতাসন্ধ্যা’। এখানে কবিতা ছাড়া কিছু থাকবে না। ত্রিশের পাঁচজন কবি- সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয় চক্রবর্তী, বিষ্ণু দে, জীবনানন্দ দাশ ও বুদ্ধদেব বসু; এবং তার পরেই শহীদ, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, আল মাহমুদ, ফজল শাহাবুদ্দীন, নির্মলেন্দু গুণ, আসাদ চৌধুরী, আবিদ আজাদ- এমন আরো অনেকে এলেন। এঁদেরকে যে শহীদ কেবল পরিচয় করিয়ে দিলেন, তা নয়, ওঁদের কবিতা বার বার পড়িয়ে পড়িয়ে জনপ্রিয় করে তুললেন। এবং অদ্ভুত ব্যাপার, যারা আসতেন, ওদের একটা কান তৈরি হয়ে গিয়েছিল, কবিতার নিজস্ব একটা মিউজিক আছে; ওটা ধরতে হবে, সেভাবে সকলে তৈরি হয়েছেন।

কবিতাসন্ধ্যা আগামীতে হবে কিনা- এই মুহূর্তে আমি সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে বলতে পারি, পাঁচ বছর ধরে যে কবিতাসন্ধ্যা হয়েছে তার প্রতিটা পর্ব আমরা ইউটিউবে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।

কবিতাসন্ধ্যা আমাদের বাসায় হতো না। আমাদের বিল্ডিংয়ে একটা হল আছে, ওটা ভাড়া নেয়া যায়, ওখানে হতো। যেহেতু শহীদের কথা শুনতে এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সকলে জানতে চাইতেন, তাই আগ্রহ নিয়ে অনেকে আসতেন। শহীদের নিজস্ব কবিতা সেখানে পড়ানো হতো না। যারা শহীদকে চেনেন, তারা জানেন, ও একদম প্রচারমুখী মানুষ ছিলেন না। তাঁর সামনে তাঁর কবিতা পড়া হলে তিনি লজ্জা পেতেন। এই কারণে তিনি চাইতেন না, তাঁর কবিতা পড়া হোক। আমি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলাম। একদিন জোর করে বললাম, আমাকে একদিন এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে যে, আপনারা সমস্ত বড় কবির কবিতা পড়ালেন, শহীদ কাদরীর কবিতা পড়ালেন না কেন? সেখানে কিন্তু আমার কোনো উত্তর থাকবে না। আমাকে শহীদ কাদরীর কবিতা পড়াতে হবে সংগঠক হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে নয়- বাংলা সাহিত্যের তিনি উল্লেখযোগ্য কবি; সে হিসেবে আমি শহীদের কবিতাও পড়িয়েছি।

যে কোনো মানুষ শহীদের কাছে যেতে পারত, তার সঙ্গে কথা বলতে পারত। এবং কেউ বলতে পারবে না, শহীদ কাদরী কোনো কিছুতেই বিরক্ত হয়েছেন। বরং নতুন যারা লিখছেন, তাদের উৎসাহিত করতেন। অনেক বই শহীদ পড়ে ওদের বুঝিয়ে দিতেন। এরকম করে একটা পাঠচক্রও তৈরি হয়েছিল। শহীদ তরুণদের সবসময় পড়ার কথা বলতেন। বলতেন, ‘কালের পুতুল’ (বুদ্ধদেব বসুর প্রবন্ধসংকলন) না পড়লে বাংলা সাহিত্য বুঝতে পারবে না। শহীদের কাছে যারা আসতো সকলে যে লেখক বা কবিতাপ্রেমী ছিল তা নয়। সব ধরনের মানুষই এসেছে শুধু শহীদের কথা শোনার জন্যে। ওরা চলে যাওয়ার সময় বলত, আজ যে ভাণ্ডার নিয়ে যাচ্ছি এটা সবখানে পাওয়া যায় না। আমি দেখতাম, আগত অতিথি চুপচাপ বসে আছেন, শহীদ কথা বলে যাচ্ছেন অনর্গল। আড্ডা এভাবেই চলত। শহীদ সাহিত্যের রাজনীতি ও সমাজবাস্তবতা নিয়েও কথা বলতেন।

শহীদ খুব আধুনিক কবি। এবং আধুনিক কবিতা বরাবরই তরুণদের খুব আকর্ষণ করে। আধুনিক মানুষ যে সংকটের ভেতর দিয়ে যান, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ভেতর দিয়ে যান, সংঘাত, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ভেতর দিয়ে যান তা শহীদের কবিতায় ভীষণভাবে এসেছে। শহীদের বইয়ের নামকরণের ভেতরও একটা ধাক্কা ছিল। যেমন: আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও। এই নামকরণটা যখন করা হলো, আমি বললাম, তোমার বইয়ের নাম হোক, ‘স্বতন্ত্র শতকের দিকে’ এই নামে একটা কবিতা আছে। ও বলল, না, ‘আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও’ কবিতাটা না পেলে বইটা বেরুবে না। এর পেছনে একটা ছোট্ট গল্প আছে। শহীদ কাদরী তখন নার্সিংহোমে। বইয়ের নাম-কবিতাটি পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি পত্রিকায় একটা বিজ্ঞাপন দিলাম যে, এই কবিতাটা অমুক সালে ‘প্রবাসী’তে প্রকাশিত হয়েছিল, কারো কাছে যদি কবিতাটা থেকে থাকে তাকে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এরপর হঠাৎ একসন্ধ্যায় একমহিলা আমাকে ফোন করলেন। উনি নাম বললেন না। বললেন, আমি এখানে থাকি না, ভাইয়ের কাছে এসেছি, বিজ্ঞাপনটা দেখেছি। পত্রিকাটার ঐ সংখ্যা ঢাকায় আমার কাছে আছে, আপনি ঠিকানা দিলে আমি পাঠিয়ে দেব। তিনি তার নাম-ঠিকানা দিলেন না। আমি বললাম, চলুন আমরা দেখা করি। আপনি শহীদ কাদরীর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বললেন, না, আমি তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে চাই না। এরপর তিনি কবিতাটি পাঠালেন। তারপর বইয়ের নাম হলো- আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও। কাইয়ুম ভাইকে অনুরোধ করা হলো প্রচ্ছদের জন্য। কাইয়ুম ভাই বললেন, আমি সম্মানিত বোধ করছি। মজার ব্যাপার হলো, ঐ বছর বইমেলায় ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে ঐ বইটি সর্বোচ্চ বিক্রি হয়। তো এই তারুণ্যের বিষয়টা কাদরীর ভেতর সবসময় ছিল।

‘কবিতাসন্ধ্যা’য় পাশাপাশি দুজন


শহীদ কাদরী বলতেন, রবীন্দ্রনাথই আমাদের ডুবিয়েছেন। এত বেশি তিনি লিখেছেন যে, আমাদের আর লেখার সুযোগ দেননি। কম লেখা নিয়ে কথা বলতে গেলে বলতে হয়, পৃথিবীর অনেক লেখক কম লিখেও বিশ্বসাহিত্যে পাকাপাকি আসন করে নিয়েছেন। রিলকে এবং র‌্যাবো একটি করে বই লিখেছেন। আধুনিক কবিতার জনক ফরাসি কবি শার্ল বোদলেয়ারও অল্প লিখেছেন, কাজেই শহীদ বলতেন, বেশি লেখার দরকার নেই, যেটা লিখছ সেটা যেন নতুন কিছু হয়।

বার বার দেশে ফেরার কথা বলতেন। বলতেন, আমি যদি একবার সুস্থ হতাম তাহলে দেশে ফিরে যেতাম। বার বার বলেছেন, বাংলাদেশকে আমি বুকে ধারণ করি। আমার সত্তায় ধারণ করি। বাংলাদেশ আমার দেশ। কখনো তিনি মার্কিন সিটিজেনশিপ নেননি- আমি আগেও বলেছি।

খুব সিলেক্টিভ পাঠক ছিল শহীদ। শেষদিকে উপন্যাস পাঠ একটু কমে গিয়েছিল। তবে অবশ্যই প্রবন্ধপাঠ করতেন। মঁতেউন-এর প্রবন্ধপাঠ শুরু করেছিলেন। আমাদের বাড়িতে বই ছাড়াও প্রচুর ম্যাগাজিন আসত। নিউজলেটার, প্যারিস রিভিউ, গ্রান্টা, নিউ ইয়র্কার, সায়েন্স নিউজ- এগুলো নিয়মিত পড়তেন।

বিজ্ঞান বিষয়ে অসীম একটা আগ্রহ ছিল। বিজ্ঞানের সর্বশেষ আবিষ্কার নিয়ে জানতে চাইতেন। সব মিলে অসম্ভব পড়তে ভালোবাসতেন। আর প্রচুর বাংলা পড়তেন। ‘কালি ও কলম’ আনার চেষ্টা করতাম, ‘দেশ’ পত্রিকা আসতো আর ‘বইয়ের দেশ’ পড়ে পড়ে বইয়ের নামগুলি টুকে নিতেন।

শহীদ ও তাঁর প্রজন্মের সামনে তৎকালীন পূর্ববাংলায় উল্লেখযোগ্য কোনো আধুনিক কবিতার কাগজ ছিল না। শহীদ বলত, আমাদের সামনে সঞ্জয় ভট্টাচার্যের ‘পূর্বাশা’ ছিল। ঠিক করলাম প্রথমে আমরা পূর্বাশাতে পাঠাব। সেখানে যদি ছাপা হয়, তাহলে একটু সাহস বাড়ে। তারপর আমরা বুদ্ধদেব বসুর কাছে তার কবিতা পত্রিকার জন্য পাঠাবো।

বুদ্ধদেবের যে জীবনদর্শন, তাঁর যে সমালোচনা সাহিত্য ও সাহিত্যচোখ এটা দ্বারা প্রভাবিত তো বটেই, তাঁর সমগ্র রচনা দ্বারা প্রভাবিত। ওরা কিন্তু ওদের নিজস্বতা নিয়েই বের হয়ে এসেছিলেন। বুদ্ধদেব বসুর কবিতা আর শহীদ কাদরীদের কবিতা আলাদা। শহীদ বলতেন, আমাদের কবিতা আলাদা হবেই, কারণ আমাদের আন্দোলনগুলো আলাদা, আমাদের ইতিহাস আলাদা। আমাদের ভাষা আন্দোলন, আমাদের যুক্তফ্রন্ট, আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন এগুলো আমাদের সাহিত্যকে আলাদা পথে চালিত করেছে।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালির চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতীক। তিনি না থাকলে আমরা আমাদের এই দেশটি পেতাম না। আমাদের কোনো নিজস্ব আইডেনটিটি তৈরি হতো না। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু- এর বাইরে কিছু না। এটা সবসময় শহীদ বলতেন। বলতেন, অনেক কিছু চেষ্টা করা হবে। কোনো লাভ নেই। বঙ্গবন্ধু থাকবেনই।

আমার সঙ্গে তাঁর শেষ কথা বড় অদ্ভুত। শনিবার রাত ১২টায় আমি ফোন করলাম। ও তখন হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় আইসিইউ থেকে বেডে এসেছেন। আমি সাড়ে দশটায় বাসায় ফিরে এলাম। ফোনে শরীর ভালো কিনা জানতে চাইলে বলল, হ্যাঁ ভালো আছি। একটু ঘুমাতে চেষ্টা করবো। ও বলল, তুমি আবার কল করলে কেন?

বললাম, এই যে ফোনটা নতুন নিলাম। ও বলল, হ্যাঁ, ফোনটা কাজ করছে। আমি বললাম, ঘণ্টাখানেক পরে কি ফের কল করবো? ও বলল, না আর কল করতে হবে না। আমার প্রচুর ঘুম দরকার। তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো। কালকে সকালে কফি নিয়ে এসো, চিজ, ডেনিশ নিয়ে এসো, আমরা একসঙ্গে ব্রেকফার্স্ট করবো। আমাকে আর কল করো না, আমি ঘুমানোর চেষ্টা করবো। গুডনাইট ডার্লিং!

একদম পরিষ্কার গলা। গলা কাঁপছিল না। এটাই শেষ কথা।

শহীদের শোকে আমরা এখন ভীষণভাবে কাতর। শহীদ বার বার চাইতেন বাড়িতে একটা লাইব্রেরি হোক। আর তাঁর কাজগুলো নিয়ে কিভাবে কী করা যায়, এটা সকলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখনো তো এমন কিছু ভেবে উঠতে পারিনি। আমরা জানি, পৃথিবীতে আসা মানেই চলে যেতে হবে। কিন্তু শহীদ যে এমন অকস্মাৎ চলে যেতে পারেন, এটা ভাবনায় ছিল না। নিশ্চয় আমরা চাইবো শহীদ কাদরী তাঁর লেখায়, তাঁর স্মৃতি দিয়ে বেঁচে থাকবেন। শহীদকে যে কত মানুষ ভালোবাসত, কত মানুষ তাঁর লেখা পড়ত- এসব দেখে আমি তৃপ্তি পেয়েছি। প্রয়াত শহীদকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং সম্মানের সাথে সমাহিত করার জন্যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারপ্রধান, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। শেষ বিদায় জানাবার প্রতিটা কাজ এত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে যে আমরা সবাই তাঁর কাছে ঋণী হয়ে রইলাম।

শহীদ এই ভালোবাসার মধ্য দিয়েই বেঁচে রইবেন।

আলাপন অনুলিখন: পিয়াস মজিদ 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ আগস্ট ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়