ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘হজ অব্যবস্থাপনায় জড়িতদের লাইসেন্স বাতিল’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৫, ২৮ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘হজ অব্যবস্থাপনায় জড়িতদের লাইসেন্স বাতিল’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, হজ অব্যবস্থাপনার জন্য ট্র্যাভেল এজেন্সি ও হজ এজেন্সিগুলো দায়ী। তাদের প্রতারণাই এর অন্যতম কারণ। এজন্য দায়ী এজেন্সিগুলোর লাইসেন্স বাতিলসহ আর্থিক জরিমানা করা হবে।

সোমবার সচিবালয়ে হজ পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিমানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, হজ এজেন্সিগুলো সময়মতো বাড়ি ভাড়া না করে পরে বাড়ি ভাড়া করেছে। ঠিক সময়ে হজযাত্রীদের ফ্লাইটে পাঠায়নি। ভিসা ও টিকিট না করে পালিয়েছে। হজযাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বুকিং দিয়েও এজেন্সিগুলো টিকিট নেয়নি। এভাবে তারা হজযাত্রীদের সঙ্গে চরম প্রতারণা করেছে। সময়মতো ভিসা ও টিকিট সংগ্রহ না করায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে এবারের হজযাত্রায় চরম অব্যবস্থাপনা দেখা দেয়।

তিনি বলেন, হজ এজেন্সিগেুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে আমরা তাদের বলেছি, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রতারণা ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হজ এজেন্সিগুলোর বিরেুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে লাইসেন্স বাতিল ও আর্থিক জরিমানাসহ আরো যা করা দরকার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।

কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, হজের পরে এজেন্সিগুলোর তালিকা করা হবে, তদন্ত হবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হজ অব্যবস্থাপনার জন্য হাব আমাদের দায়ী করলেও আমরা তাৎক্ষণিক জবাব দেয়নি। কারণ আমরা চাই আগে সবাই হজে যাক, তারপরে অনিয়ম, প্রতারণার বিষয়টি আমরা দেখব। তখন তাদের জবাব দেওয়া হবে। এবার সবাইকে হজে পাঠানো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল, সবাই উৎকণ্ঠায় ছিলেন, আমরা প্রায় সবাইকে হজে পাঠাতে পেরেছি।

ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণায় জড়িত জানিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন বলেন, ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো টিকিট নিয়ে প্রতারনা করেছে। যার কারণে হজযাত্রীদের ভোগান্তি হয়েছে। তাই এর সঙ্গে জড়িতদের লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কত ট্রাভেল এজেন্সি জড়িত জানতে চাইলে মেনন বলেন, কতগুলো ট্রাভেলস এজেন্সি এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে একটি তালিকা করছি। হজ শেষ হওয়ার পর আমরা তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

মন্ত্রী দুঃখ করে বলেন, হজযাত্রী সঙ্কটের কারণে ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। শেষ মুহূর্তে হজে পাঠাতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। এই অবস্থার জন্য আসলে হজ এজেন্সিগুলো দায়ী। হজযাত্রীদের যাতে সময়মতো ফ্লাইটে পাঠানো হয় এজন্য র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে এজেন্সি মালিকদের ধরে আনতে হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য আমরা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করব।

মেনন বলেন, এবার হজযাত্রী পাঠানো নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, তা সবার সহযোগিতায় দূর হয়েছে। সঙ্কটকালে গণমাধ্যম যে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, এবার হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজ এজেন্সি, ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোর প্রতারণা শুধু দায়ী নয়। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ই-ভিসা জটিলতা। প্রিন্টার ছিল না। যার ফলে ঠিক সময়ে তারা ভিসা সংগ্রহ করেনি।

এছাড়া যারা দ্বিতীয়বার হজ করতে যাবে তাদের জন্য অতিরিক্ত ২ হাজার সৌদি রিয়াল বাড়তি দেওয়ার বিষয়টিও এবার সমস্যা হয়েছে। আর সৌদি আরব এবার যে মোয়াল্লেম ফি বাড়িয়েছে তা এজেন্সিগুলো দিতে রাজি হয়নি। এবারের সমস্যা, সংকট ও প্রতারণার বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে আগামী বছর সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন বিমানমন্ত্রী।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ আগস্ট ২০১৭/নঈমুদ্দীন/সাইফ/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ