ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

সম্পদ বিবরণী দিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়ালের সহকারী পরিচালক

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ২৯ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সম্পদ বিবরণী দিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়ালের সহকারী পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সহকারী পরিচালক (এএসপি) হাশেম ও তার স্ত্রী।

মঙ্গলবার দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাদের সম্পদের হিসাব জমা দেন। দুদকের জনসংযোগ শাখা সূত্রে এ তথ্য জানান।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সহকারী পরিচালক (এএসপি) মো. আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী মিসেস তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে সম্পদের বিবরণ দাখিলের নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অনুসন্ধানে মো. আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ও তার স্ত্রী মিসেস তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ তথ্য পায় দুদক।

দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন।

এ বিষয়ে দুদক সূত্রে আরো জানা যায়, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সহকারী পরিচালক (এএসপি) মো. আবুল হাশেম ২০১০-১১ করবর্ষ থেকে ২০১৭-২০১৮ করবর্ষের আয়কর নথিতে দুদক বৈধ ও গ্রহণযাগ্য পায় ৬৭ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ টাকা। এর মধ্যে কর পরিশোধসহ পারিবারিক ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তার ব্যয় বাদ দিলে নিট আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ১৭৩ টাকা। অন্যদিকে তার নামে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পরিমাণ হলো ১ কোটি ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩১ টাকা। অর্থ্যাৎ মো. আবুল হাশেমের ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রতিয়মান হয়েছে।

অন্যদিকে তার স্ত্রী মিসেস তাহেরিনা বেগম ২০০৫-২০০৬ করবর্ষ থেকে ২০১৭-২০১৮ করবর্ষের আয়কর নথি থেকে প্রাপ্ত আয় ও ব্যয়ের হিসাব থেকে নিট আয় পাওয়া যায় ৮১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫২ টাকা। যা মিসেস তাহেরিনা বেগমের নামে স্থাবর ও অস্থাবর ১ কোটি ১ লাখ ৬ হাজার ৭৯৬ টাকার সম্পদ থেকে বাদ দিলে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানের প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়।

উক্ত সম্পদের স্বপক্ষে তিনি আংশিক তথ্য দিলেও গ্রহণযোগ্য কোনো দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি বলে দুদক সূত্রে জানা যায়। দুদকের হটলাইন-১০৬ এ আসা অভিযোগ থেকে ২০১৭ সালের শুরুতে এই অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ নভেম্বর ২০১৮/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়