ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যাত্রাপালায় ইতিহাসের উপকরণ || তপন বাগচী

তপন বাগচী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ৪ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যাত্রাপালায় ইতিহাসের উপকরণ || তপন বাগচী

আলোকচিত্র : মোহাম্মদ আসাদ

ঐতিহাসিক কাহিনির উপর ভিত্তি করে রচিত পালাকে ‘ঐতিহাসিক পালা’ বলা হয়। এই ইতিহাস হতে পারে অতীতের কাহিনি কিংবা সমকালের এমন কাহিনি যা একসময়ে ইতিহাসের উপাদান হতে পারে। সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে রচিত পালাকে তাই ‘রাজনৈতিক পালা’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি নিয়ে রচিত পালাকে আমরা ঐতিহাসিক পালা বলতে পারি। কিন্তু এই কাহিনি নিয়ে একাত্তর সালে যখন পালা লেখা হলো তখন একে রাজনৈতিক পালা বলা সঙ্গত ছিল। তবে একটা সময়ে ঐতিহাসিক পালা ও রাজনৈতিক পালা সমার্থক হয়ে যায়। তবে ঐতিহাসিক ঘটনা ও চরিত্র যে সকল ক্ষেত্রে যথার্থ হয়, এমন নয়। কাল্পনিক রাজা-বাদশা নিয়েও ঐতিহাসিক পালা রচিত হয়েছে।

ব্রজেন্দ্রকুমার দে ঐতিহাসিক পালার সার্থক রূপকার। ১৯৪২ সালে তিনি রঞ্জন অপেরার জন্য লেখেন কাল্পনিক পালা ‘রাজনন্দিনী’। এই কাল্পনিক পালা থেকে ঐতিহাসিক পালার বিস্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন- ‘আমার বর্ণিত স্বর্ণযুগে প্রথমে যে পরিবর্তন এলো, তা হলো কাল্পনিক পালার প্রবর্তন। রঞ্জন অপেরায় অভিনীত ‘রাজনন্দিনী’তে এর যাত্রারম্ভ। এইসব পালা প্রথম-প্রথম পৌরাণিক ধাঁচে লেখা হতো। যাঁরা পালা রচনা করতে গিয়ে পৌরাণিক আখ্যান খুঁজে-খুঁজে হয়রান হতেন, তাঁদের কাছে এক নতুন পথ খুলে গেল। যাত্রারসিকেরা সঙ্গে-সঙ্গে নতুন পদ্ধতিকে স্বাগত জানালেন। ক্রমে এই কাল্পনিক পালার প্রসার ঐতিহাসিক পালার রূপেও বিস্তৃত হলো।’

আর্য অপেরা ও নবরঞ্জন অপেরায় অভিনীত ব্রজেন্দ্রকুমার দে-র ‘বাঙালী’ (১৯৪৮) পালাকে প্রফেসর ডক্টর ক্ষেত্র গুপ্ত ‘শ্রেষ্ঠ কল্পনা-কর্ম’ নামে অভিহিত করেছেন। এই পালা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি ঐতিহাসিক পালার একটি সামগ্রিক চারিত্র্য চিহ্নিত করেছেন।

ব্রজেন্দ্রকুমার দে-র ‘কলিঙ্গবিজয়’, ‘সুলতানা রিজিয়া’, ‘আঁধারে মুসাফির’, ‘কোহিনূর’, ‘বর্গী এলো দেশে’, ‘সোহরাব রুস্তম’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘পাপের ফসল’, ‘শয়তানের চর’, ‘বাঙালী’, ‘নবাব হোসেন শাহ’, ‘বাংলার বাঘ বা প্রতাপাদিত্য’, ‘রাখীভাই’, ‘অনেক রক্ত ছড়িয়ে’, ‘চাঁদবিবি’, ‘ধর্মের বলি’, ‘সোনার ভারত’, ‘হে অতীত কথা কও’ প্রভৃতি ঐতিহাসিক পালা এখনও যাত্রাপ্রিয় মানুষের কাছে তার আবেদন অক্ষুণ্ন রেখেছে।

শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের ‘নবাব সিরাজদ্দৌলা’ নাটক থিয়েটার-মঞ্চের জন্যে রচিত হলেও বাংলাদেশের যাত্রামঞ্চে এটি সর্বাধিক অভিনীত হয়েছে। তাঁর ‘পানিপথ’ নাটকটিও যাত্রামঞ্চে জনপ্রিয়। মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের ‘টিপু সুলতান’, ‘মহারাজ নন্দকুমার’, ‘রক্তস্নাত দিল্লি’, ‘সিংহগড়’ প্রভৃতি ঐতিহাসিক পালা আমাদের যাত্রাজগতকে সমৃদ্ধ করেছে। কানাইলাল শীলের ‘বীর হাম্বির’, ‘চাষার মেয়ে’, ‘ধাত্রীপান্না’, ‘বীরপূজা’, ‘দলমাদল’; শান্তিরঞ্জন দে-র ‘গঙ্গা থেকে বুড়িগঙ্গা’, ‘সূর্যসাক্ষী’; নন্দগোপাল রায়চৌধুরীর ‘রমযানের চাঁদ’ এবং আনন্দময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ফাঁসির মঞ্চে’, ‘পৃথ্বীরাজ’ প্রভৃতি পালা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল।

নরেশচন্দ্র সেনগুপ্তের প্রথম পালার নাম ‘বিনয় বাদল দীনেশ’। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের তিন সাহসী বীরের উদ্দীপক কাহিনির ওপর ভিত্তি করে রচিত এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পালা। চারুবিকাশ দত্তের ‘বিদ্রোহী চট্টগ্রাম’ পালাটি থিয়েটার ও যাত্রা উভয় মাধ্যমেই অভিনয়ের উপযোগী। এর কাহিনি আবর্তিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিদ্রোহের নায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনকে নিয়ে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে দীনেশ এবং সূর্য সেন যে আহ্বান জানিয়েছেন তা একই সূত্রে গাঁথা। বক্তব্যের মিলও লক্ষণীয়। বাঙালির বীরত্বগাঁথা বর্ণনার মাধ্যমে জনগণকে ইতিহাসের পাঠদানই এখানে বড় ব্যাপার।

লোকনাট্য যাত্রাদলে উৎপল দত্ত রচিত ‘সন্ন্যাসীর তরবারি’ (১৯৭২) ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দেবী চৌধুরানী’ এবং উৎপল দত্তের ‘সন্ন্যাসীর তরবারি’-র কাহিনি-উৎস একই। সন্ন্যাস বিদ্রোহের নেপথ্য নেতা ফকির মজনু শাহের কাহিনি নিয়ে এটি একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী যাত্রাপালা। এই কাহিনি ‘ফকির বিদ্রোহী মজনু শাহ’ নামেও বাংলাদেশের যাত্রামঞ্চে অভিনীত হয়।

ভৈরবনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘মেহেরুন্নিসা’ পালাটি নট্ট কোম্পানি ১৯৭৬ সালে মঞ্চে আনে। এছাড়া তার ‘সম্রাট আলমগীর’, ‘শাহানশাহ্ আকবর’, ‘বেগম আসমান তারা’, ‘তাজমহল’, ‘নাচমহল’, ‘বিবি আনন্দময়ী’, ‘দেবী সুলতানা’ পালা বাংলাদেশের মঞ্চে সমান জনপ্রিয়। জিতেন্দ্রনাথ বসাকের ‘দ্বিতীয় পানিপথ’, ‘সিপাহী বিদ্রোহ’, ‘সম্রাট অশোক’, ‘ফরিয়াদ’, ‘লালবাঈ’ ‘মুঘল-এ-আযম’, ‘বাগদত্তা’, ‘আমি সিরাজের বেগম’। তাঁর ‘ফরিয়াদ’ পালাটি আবার ‘কালী ডাকাত’ নামেও মঞ্চস্থ হয়। এদেশের যাত্রামঞ্চের নন্দিত ‘দস্যু কালা শের’ পালাটি রচনা করেছেন প্রসাদকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য। তার আরও পালা হচ্ছে ‘আনার কলি’, ‘জালিম সিংহের মাঠ’, ‘রক্ত দিয়ে কিনলাম’, ‘বারুদ নিয়ে খেলা’, ‘সোনার কেল্লা’ প্রভৃতি।

গৌরচন্দ্র ভড়ের ‘কণ্ঠহার’, ‘জনতার আদালত’, ‘জলসাঘর’; নির্মল মুখোপাধ্যায়ের ‘কান্নার কূলে’, ‘রণভেরী’, ‘কবরের নীচে’, ‘বাসর হলো না’; রঞ্জন দেবনাথের ‘ঝড় থামলো’, ‘চিড়িতনের বিবি’, ‘দীপ নেভে নাই’, ‘মাটির কেল্লা’, ‘অভিশপ্ত সূর্যগড়’; সঞ্জীবন দাসের ‘আবীর ছড়ানো মুর্শিদাবাদ’; কমলেশ ব্যানার্জীর ‘রক্তনদীর ধারা’ প্রভৃতি পালা ঐতিহাসিক বক্তব্য প্রচারে ভূমিকা রেখেছে। কানাইলাল নাথের ‘কে ঠাকুর ডাকাত’ বাংলাদেশের মঞ্চে জনপ্রিয় করেছে নায়ক স্বপনকুমার দেবনাথ। অধ্যাপক নূরুল ইসলামের ‘ফকির বিদ্রোহী মুসা শাহ’ রংপুরের জনতা যাত্রা ইউনিট মঞ্চস্থ করে। হীরেন্দ্রকৃষ্ণ দাসের ‘রাজমুকুট’, ‘বেঈমানের চক্রান্ত’ বাংলাদেশের ঝুমুর যাত্রাদলে অভিনীত হয়ে চলছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাত্রা লেখা হয়েছে, পেশাদার মঞ্চে অভিনীত হয়েছে। একাত্তর সালের পরেও এ সকল পালা বিভিন্ন যাত্রাদল আসরস্থ করে। পালাকার সত্যপ্রকাশ দত্তের পালা বাদে বাংলাদেশে আরও যে নয়টি পালার পরিচয় পাওয়া যায় তার মধ্যে পালাকার পরিতোষ ব্রহ্মচারী, কবিয়াল বিপিন সরকার এবং অভিনেত্রী জ্যোৎস্না বিশ্বাস রচিত পালা তিনটি মানসম্পন্ন। অন্য পালাগুলোও মঞ্চসফল হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। নগরের শিক্ষিত ও সচেতন নাট্যকারদের হাতে এখনও বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে ইতিহাস-সিদ্ধ নাটক রচিত হয়নি। অথচ সাধারণ মানুষের যাত্রামঞ্চের জন্যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পালা রচিত ও অভিনীত হয়েছে। যাত্রাপালাকার ও শিল্পীদের এই সমবেত প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।

মুক্তিযুদ্ধ নয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক পালারচনা সাহসের পরিচয়বাহী। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক তাজউদ্দিন আহমদের চরিত্রও ফুটে উঠেছে নিরাপদ মণ্ডলের ‘মুক্তিফৌজ’ পালায়। আটটি পালায় এসেছে সরাসরি মুজিবের নাম। তিনটি পালার নামে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি এসেছে। মন্মথ রায়ের পালা থিয়েটারের জন্যে রচিত হলেও যাত্রামঞ্চে এটি গৃহীত হয়েছিল। পঁচাত্তর সালের পরে শেখ মুজিবের জীবনভিত্তিক পালাগুলো পেশাদার দলে অভিনীত হচ্ছে না। ইতিহাসের এই গৌরবের অধ্যায় নিয়ে এ যাবৎ মোট ১৮টি পালা রচিত ও মঞ্চস্থ হয়েছে। সকল পালা এখনো গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি।

দিগিন্দ্রচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘দুরন্ত পদ্মা’ পালাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পালাটি রচিত হয়। আগস্ট মাসে এটি রচনা সম্পন্ন হয় এবং ডিসেম্বর মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। ভারতীয় গণ-সংস্কৃতি সংঘ এটি প্রথম মঞ্চে আনে। এই পালাটি ‘সোভিয়েত দেশ নেহেরু পুরস্কার’ লাভ করে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আরেকটি যাত্রাপালা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। নিরাপদ মণ্ডল রচিত এই যাত্রাপালার নাম ‘মুক্তিফৌজ’। পালাকার একে ‘জয়বাংলার ইতিহাস’ নামে আখ্যা দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের টাউনশিপ গ্যারেজ ময়দানে ১৯৭১ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে (২ আশ্বিন, ১৩৭৮) খেয়ালী নাট্যসমাজ এই পালা মঞ্চায়ন করে। পালাটি গ্রন্থাকারে প্রকাশের সময় পালাকার বলেছেন: ‘পাকিস্তান সরকারের জঙ্গী মনোভাবের বিরুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এগিয়ে এলো বাংলাদেশের তরুণ সমাজ। ‘জয়বাংলা’ ধ্বনিতে বাংলার আকাশ-বাতাস-মাটি মুখর হয়ে উঠল। ইয়াহিয়া খান লেলিয়ে দিল তার সেনাবাহিনী। শুরু হলো বাঙালির ওপর অমানুষিক অত্যাচার; নেমে এলো দেশের বুকে রক্তের বন্যা। তারপর সব ইতিহাস। সে ইতিহাস রচনা হলো বাংলাদেশের তাজা তরুণ রক্তে। সেই রক্তের আখরে লেখা মুক্তিফৌজের অমর কাহিনী আমার অক্ষম লেখনীতে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।’ (জিতেন্দ্রনাথ বসাক, বাগদত্তা, রতন বুক হাউস, ঢাকা)।

বাংলাদেশের যুদ্ধের কাহিনি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও রাজনীতির ওপর ভিত্তি করে সত্যপ্রকাশ দত্ত রচনা করেন ‘বঙ্গবন্ধু মুজিবুর’ নামের যাত্রাপালা। ১৯৭১ সালে লেখা উৎপল দত্তের ‘জয়বাংলা’ মুক্তিযুদ্ধের সময় লোকনাট্য যাত্রাদল মঞ্চস্থ করে। ছবি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বঙ্গবন্ধুর ডাক’ নামে একটি যাত্রাপালা রচনা করেন। ‘সাত কোটির মুজিব’ পালাটি জনপ্রিয় হয়েছিল, তবে এর রচয়িতার নাম জানা যায় নি। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ পালাটি ১৯৯৬ সালে জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের আমন্ত্রণে ইন্দ্রসভা অপেরা ঢাকার মঞ্চে অভিনয় করে। বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করেন পালাকার ও নির্দেশক মৃণাল কর নিজেই।

পরিতোষ ব্রহ্মচারীর ‘নদীর নাম মধুমতি’ তুষার অপেরার মাধ্যমে অভিনীত হয়। জ্যোৎস্না বিশ্বাসের ‘রক্তস্নাত একাত্তর’ পালাটি ঢাকার মঞ্চে ১৭ বার অভিনীত হয়েছে। এমএ মজিদের ‘সোনার বাংলা’, দিলীপ সরকারের ‘বাংলার বিজয়’ এবং নজরুল ইসলাম সাজুর ‘বাংলার মুক্তি’, কবিয়াল বিপিন সরকারের লেখা ‘মুক্তিসেনা’ পালাগুলো বিভিন্ন মঞ্চে অভিনীত হয়েছে। আমাদের থিয়েটার তথা নাগরিক নাট্যসমাজ যা পারে নি, যাত্রা তা পেরেছে। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু তো বটেই ‘হিটলার’, ‘লেনিন’, ‘হো-চি মিন’ পালা যাত্রায় এসেছে। এ কারণেই নাট্যগবেষক প্রভাতকুমার গোস্বামী বলেছেন যে, ‘বর্তমানে অর্থাৎ সত্তর দশকে অবশ্য ঐতিহাসিক যাত্রাপালা বিষয়বস্তুর দিক থেকে থিয়েটারের নাটককে পেছনে ফেলে এসেছে বললেই হয়’।

লেখক: কবি-প্রাবন্ধিক-ফোকলোরবিদ

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মে ২০১৯/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়