ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ক্রিকেট নিয়ে সেরা দশ বই

মিলন আশরাফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৩ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্রিকেট নিয়ে সেরা দশ বই

মিলন আশরাফ: প্রায়ই বলা হয়, অন্যান্য খেলার তুলনায় ক্রিকেট নিয়ে সবচেয়ে সমৃদ্ধ সাহিত্য রচিত হয়েছে। এই কাতারে বেসবলের অবস্থানও শক্তিশালী। দীর্ঘক্ষণের খেলা ক্রিকেটে আছে মৌলিক সরলতা। সবুজ মাঠের ভেতর রঙের অপূর্ব সংমিশ্রণ নান্দনিক সৌন্দর্য প্রকাশ করে। পাশাপাশি সামাজিক ইতিহাস বিশেষ করে লিঙ্গবৈষম্য, বর্ণবৈষম্য এগুলো বারবার উঠে এসেছে এই খেলায়। এটা যতটা না মাঠের খেলা, তারচেয়েও বেশি মনস্তত্বের খেলা।
আলোচ্য বইগুলোতে সব লেখকই ক্রিকেটের গভীরে গিয়ে তুলে এনেছেন প্রয়োজনীয় তথ্য। তারা জেনেছেন, ক্রিকেট আসলেই গুরুত্বপূর্ণ, আবার ওই একই ক্রিকেট হয়তো কোনো গুরুত্ব বহন করে না। ইতিহাসবিদ ডেভিড কিংস্টন গবেষণা করে নিজের মতামত অনুসারে ক্রিকেট নিয়ে সেরা ১০টি বইয়ের তালিকা করেছেন। পাঠক, আসুন জেনে নিই সেই ১০টি বইয়ের খোঁজখবর।

ডেইজেস ইন দি সান- নেভাইল কার্ডাস
আধুনিক ক্রিকেট নিয়ে লেখালেখি এগিয়েছে নেভাইল কার্ডাসের হাত ধরে। ১৯২০ শতকে শ্রমিক শ্রেণির আত্মপ্রচেষ্টায় শিক্ষিত ম্যানকুরিয়ানের একটি খ্যাতিমান ম্যাচ ‘ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান’র হয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন। বইটিতে তিনি কল্পনার মিশেলে দিনের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের সম্ভাবনাগুলো ত্রিমাত্রিকভাবে উপন্যাসীয় কায়দায় প্রকাশ করেছেন। খেলার ভেতরের যে ছন্দ সেটা নিজস্ব অনুভবে ফুটিয়ে তুলেছেন উক্ত বইটিতে। খেলার মধ্যভাগে দর্শক ও খেলোয়াড়ের মধ্যে সরাসরি মিথষ্ক্রিয়া বর্ণনায় রেখেছেন। তাঁর বর্ণনামূলক গদ্য সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেট লেখকের স্বীকৃতি দেয়। ডেইজেস ইন দি সান বইয়ের যে কোনো পৃষ্ঠায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ‘একটি ব্যাট বিভিন্ন হাতে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করে। গ্রেসের হাতে ব্যাট মানে দণ্ডের শাসন। খারাপ বোলিং তার কাছে ছিল নৈতিক আদেশের বিচ্যুতি। রঞ্জিতসিংজি ব্যাটকে জাদুর দণ্ডের মতো ব্যবহার করতেন। বিরোধীপক্ষের চোখের সামনে তার নিজস্ব শোভাযাত্রার পথে মোহগ্রস্ত করে ছাড়তেন...’ (পৃষ্ঠা ৭২)। নেভাইল কার্ডাসের খ্যাতি আজ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে অনেকগুলো ত্রুটিপুর্ণ ঘটনাগত কারণে। কিন্তু তিনি টিকে থাকবেন আমাদের কাছে ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে।

অস্ট্রেলিয়া ৫৫- অ্যালান রস
বইটির লেখক পুরনো দিনগুলোতে ক্রিকেট সফরগুলোর দীর্ঘস্থায়ী ও দীর্ঘক্ষণ ধরে খেলার বর্ণনা দিয়েছেন। বইটিতে অ্যাশেজ সিরিজের মহাকাব্যিক এক বিজয়গাঁথা রচিত হয়েছে। যদিও ক্যাপ্টেন হিসেবে ল্যান হুট্টন কখনো কখনো নিরাশাবাদীর ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু ক্রিকেটের ইতিহাসে ওই সফরটি ছিল ক্লাসিক। অ্যালান রস ছিলেন নামকরা সাহিত্য সম্পাদক ও কবি। বইটিতে তিনি সবকিছুর সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন গদ্য বর্ণনায়। ক্রিকেট মাঠের গীতিময় নাটকীয়তাকে চিত্তাকর্ষক ভাষায় বর্ণনা করেছেন তিনি। অ্যাশেজ সিরিজের সেইসব বীরত্বগাঁথা লিপিবদ্ধ হয়েছে আলোচ্য বইটিতে। একটি দেশের আধুনিক পরিচয়ের ছন্দময় স্ন্যাপশর্ট বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠায় রয়েছে।

বিইয়ন্ড বাউন্ডারি-সিএলআর জেমস
তিন নম্বর বইয়ের তালিকায় আছে সিএলআর জেমসের এই বইটি। ‘দি টাইমস’ কর্তৃক ‘ব্লাক প্লেটো’খ্যাত জেমস একজন ত্রিনিদাদিয়ান মার্ক্সবাদী পণ্ডিত। ক্রিকেট তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ক্রিকেট নিয়ে তাঁর যুগান্তরকারী প্রশ্ন- ‘যারা শুধুমাত্র ক্রিকেট জানে, তারা ক্রিকেট সম্পর্কে আসলে কী জানে?’ জেমস বইটির কেন্দ্রে রেখেছেন জাতি, রাজনীতি ও শ্রেণি সংগ্রামের বিষয়গুলো। এ সবকিছু বর্ণনা করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অভিব্যক্তিতে। তাঁর ভাইপো ব্রডকাস্টার ডারকুস হাওয়ে সম্প্রতি সমসাময়িক ক্যারিবীয় ক্রিকেট নিয়ে জেমস কী করেছেন এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এক অর্থে এটা পড়া খুব কঠিন। গার্ডিয়ান পত্রিকায় পাঠকের ভোটে বইটি ক্রিকেট নিয়ে সেরা বইয়ের তালিকায় তিন নম্বর স্থান দখল করেছে। কাগজটি বইটির প্রশংসা করে বলেছে: ‘ক্রিকেট নিয়ে এটা সেরা বই।’
বিংশ শতাব্দীর সেরা চিন্তাবিদ সিএলআর জেমসের ক্লাসিক জীবনের অর্ধেক কেটেছে ক্রিকেট খেলে, দেখে ও লিখে। তিনি খেলোয়াড়দের মনস্তত্ত্ব নান্দনিক ভাষায় তুলে ধরেছেন উক্ত বইটিতে। পাশাপাশি বর্ণবৈষম্য, শ্রেণি ও রাজনীতি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিমত প্রকাশ করেছেন। বাল্যকালের স্মৃতির একটি অংশ, ঔপনিবেশিকদের অংশীদারিত্বের বর্ণনায় এনেছেন ক্রিকেটীয় ভাষ্য। বিইয়ন্ড এ বাউন্ডারি শুধু একটি খেলার বই নয়, এটা সমগ্র সংস্কৃতির অংশ।

দি আর্ট অব ক্যাপ্টেনসি-মাইক ব্রেয়ারলি
মাইক ব্রেয়ারলি ক্রিকেট ইতিহাসে সফল অধিনায়কদের ভেতর অন্যতম প্রধান। ১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ  অ্যাশেজ ম্যাচের জয়ের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। দি আর্ট অব ক্যাপ্টেনসি বইয়ে তার নের্তৃত্ব ও অনুপ্রেরণার উপর গবেষণা লক্ষ্য করা যায়। সরাসরি দল পরিচালনার অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন তিনি। খেলায় তার কৌশলগত বোধগম্যতা অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে ঢেলে সাজিয়েছেন বইটি। সেইসঙ্গে কীভাবে দলের সবাই তাদের সেরা খেলাটা দিতে পারে সেই বর্ণনা দেয়া আছে এখানে। দি আর্ট অব ক্যাপ্টেনসি বইটি একটি ক্লাসিক হ্যান্ডবুক।  বইটিতে খেলায় কীভাবে অনুপ্রেরণা ও সাফল্য পেতে হয় তারই বর্ণনা এসেছে ঘুরেফিরে।
ইংল্যান্ডের সাবেক খেলোয়াড় ও বিবিসি’র ভাষ্যকার ইডি স্মিথ ও পরিচালক স্যাম মেন্ডিস বইটির ত্রিশতম বার্ষিকী উদযাপনের সময় বলেন, ‘বইটি ক্রিকেট অনুরাগী ও একইসঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের জন্য প্রাসঙ্গিক। অর্জিত লক্ষ্য পূরণে নিজস্ব যে ঊর্বর মস্তিষ্ক দরকার সেটা ব্রেয়ারলির ছিল।’
ব্রিয়ারলি’র অধিনায়কত্বে মনের ভেতর চূড়ান্ত বিজয়ের ব্লুপ্রিন্ট করে ফেলতেন প্রাথমিক হিসাবেই। ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনে খেলার যে ব্যবহার সবই চমৎকারভাবে বইটিতে বর্ণনা করা হয়েছে।

কনসার্নিং ক্রিকেট-জন আরলট
জন আরলট কবি, পুলিশ কর্মকর্তা, লেখক, পার্টটাইম রাজনীক, বর্ণবিদ্বেষবিরোধী বক্তা। জন্মগ্রহণ করেন ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৪। এছাড়াও তিন দশক ধরে তিনি ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ছিলেন। ক্রিকেট মিশে ছিল তাঁর আত্মায়। উক্ত বইটি লিখতে তিনি উইলিয়াম হাজিল্ট (তার সময়ের নায়কদের মধ্যে অন্যতম) দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। একজন সেরা ক্রিকেট লেখক হিসেবে তিনি এখনো সুপরিচিত ও কিংবদন্তিতুল্য। হ্যাম্পশায়ার রেডিও ভাষ্যকারও ছিলেন তিনি। একজন পেশাদার ক্রিকেটারের নিকটতম আর্থ-সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে বইটি লেখা। শুরুটা দুই দিনের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিকটবর্তী অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যাট থেকে। খেলা ও খেলোয়াড়দের নিয়ে গবেষণালব্ধ বইটি সবার পাঠ্যে অন্তর্ভুক্তি জরুরি। সর্বোপরি বইটিতে আরলটের তীক্ষ্ম ও গভীর মানবিক অন্তর্দৃষ্টির দেখা মেলে।



বিইয়ন্ড
ব্যাট অ্যান্ড বল- ডেভিড ফুট
গার্ডিয়ানের মতে সবচেয়ে বিনয়ী ক্রিকেট লেখকদের মধ্যে একজন হলেন ডেভিড ফুট। তাঁর শান্ত জ্ঞান পশ্চিমা দেশে ঝরনাধারার মতো ঝরে। বইটির শুরুতেই একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন ডেভিড ফুট। ক্রিকেটারদের খেলার বাইরের একটা জীবন আছে, সেই জীবন মাঝে মাঝে তাদের খেলা থেকে দূরে রাখে। বাণিজ্যিক জীবন চিন্তাতে ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। সুতরাং এখানে একটি কমন হুমকি রয়েছে। বইটির বেশিরভাগ অধ্যায়ে বিষাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সহজ পথের বই এটা নয়। তবুও বইটি সবার পড়া উচিত। পরিবারের সবার গল্প এটা নয়, কিন্তু প্রত্যেকে তার গল্প বলার অধিকার রাখে।

দি ক্রিকেট ওয়ার- গিডিওন হেইগ
গত অর্ধশতাব্দীতে ক্রিকেটের একটি ঘটনার উপর সবকিছু দাঁড়িয়ে। ঘটনাটি হলো; কেরি প্যাকার সাহসী উদ্যোক্তা হয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে ১৯৭৭ সালে বিভক্ত করে ফেলেন। সেই খেলা সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। ফ্লাডলাইট, সাদা বল, রঙিন পোষাক এগুলোও সংযুক্ত ছিল। সবকিছুই ঘটেছিল। এমনকি ইংরেজ কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক বিতর্কিত ঘোষণাকৃত ‘১০০ বল’কেও সংযুক্ত করা হয়। সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বিক্ষোভ এরপর ছড়িয়ে পড়ে। ক্রিকেট ইতিহাসবিদ ও উদার সহানুভূতিশীল লেখক হিসেবে হেইগ পরিচিত। এই বিষয়ে তিনি চমৎকার সংজ্ঞাও দিয়েছেন। বইটিতে তিনি আরো বলেন, থেরাপি হিসেবে ক্রিকেট সাহিত্যে নয়, কিন্তু কখনো কখনো কঠোর বাস্তবতা অনিবার্য হয়ে ওঠে।

ওয়ান মোর রান-স্টিফেন চাল্কে
বিস্ময়করভাবে কিছু বই একটি ম্যাচকেই ফোকাসড করেছে, এই বইটিও তাদের মধ্যে অন্যতম। অফ স্পিনার বায়রন ‘বোমার ওয়ালস’র স্মৃতির মাধ্যমে বইটি লেখা হয়েছে। ৫০ ও ৬০ দশকে তিনি গ্লুস্টারশায়ার ও নটিংহামশায়ারের হয়ে খেলতেন। ১৯৫৭ সালে গ্লুস্টারশায়ার ও ইয়র্কশায়ারের মধ্যকার তিনদিনের একটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে বইটি লেখা হয়েছে। বইটির উপাদান হিসাবে ওই প্রতিযোগিতা যথেষ্ট ছিল, কিন্তু পাঠকের মনে দীর্ঘদিন পর কি অবশিষ্ট রইল সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। খেলায় দর্শক ও খেলোয়াড়দের মিথষ্ক্রিয়া বর্ণনা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভাড়াটে ক্রিকেট টি-২০ ম্যাচ এসে ভয়ঙ্করভাবে ক্রিকেট পৃথক হয়ে যাচ্ছে আসল ক্রিকেট বিশ্ব থেকে।’ 

কর্নার অব ফরেন ফিল্ড- রামচন্দ্র গুহ
ক্রিকেট বিশ্বের সিন্ড্রেলাতে দীর্ঘদিন ভারত ছিল। ডন ব্রাডম্যান কখনো সেখানে যাননি। এমনকি বহু নেতৃত্বস্থানীয় ইংরেজ খেলোয়াড়ও নয়। আইপিএল-এ এসে সে চিত্র এখন পুরোপুরি পরিবর্তন। এখানে রয়েছে প্রচুর ভীড়, বিশাল টিভি শ্রোতা, বিরাট ডলারের লেনদেন, দর্শকের হইচই। এভাবেই অনুশীলন হচ্ছে আজকাল। বইটিতে ভারতীয় ক্রিকেটের গৌরবময় লিখিত ইতিহাসে গুহ আমাদের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দিনগুলোতে ফিরে যাওয়ার দীর্ঘ বর্ণনামূলক বিবরণ দিয়েছেন। গান্ধীর সেরা জীবনীকার হিসেবে তিনি আধুনিক ভারত গঠনে মূল্যবান বয়ান রেখেছেন।

ক্রিকেট: দি গেম অব লাইফ- সিসিল্ড বেরি
দশটি সাম্প্রতিক সেরা ক্লাসিক বইয়ের তালিকায় এই বইটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিস্ময়কর উপভোগ্য বই এটি। লেখকের অন্তর্দৃষ্টিতে ফুটে উঠেছে ক্রিকেটের ভূগোল। লেখক নির্ভীকভাবে তাদের জন্য ভাবে এরকম বিরল। কিন্তু বেরি এরকম ভেবেছেন। ‘সংখ্যা’ অধ্যায়ে আবেগের মিশেলে এদের পরিসংখ্যন দিয়েছেন। এই আবেগ বছরজুড়ে বহু খেলায় দেখা যায়। মানুষ নিচে যেতে পারে, কিন্তু ব্যাটিংয়ের গড় সেটা করে না। এ সবকিছুই চমৎকারভাবে বইটিতে আলোচনায় এনেছেন সিসিল্ড বেরি।

 

 

পুনশ্চ : লেখাটি তৈরিতে ‘দি গার্ডিয়ান’ পত্রিকার সাহায্য নেয়া হয়েছে

 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুন ২০১৯/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়