বেড়েছে বাল্যবিবাহ ও শিশু পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে বাল্যবিবাহ ও শিশু পাচার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ২০১৫ সালের থেকে ২০১৬ সালে শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০১৬, সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এক সভায় এ তথ্য জানায় মানুষের জন্য সংগঠন।

বিগত কয়েক বছরে বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়ায়, গত বছর নতুন বাল্যবিবাহ আইনের সংশোধন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

এদিকে ২০১৫ সালের থেকে ২০১৬ সালে শিশুর ক্ষতির পরিমাণ কমেছে- সড়ক দুর্ঘটনা, শিক্ষা, যৌন নির্যাতন, হত্যা ও হত্যা চেষ্টা, অপহরণ, অপহরণের চেষ্টা, আত্মহত্যা, দায়িত্ব অবহেলা, এসিড নিক্ষেপ ও রাজনৈতিক সহিংসতা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা রয়েছে, ২০১৬ সালে ৮৩ জন শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। যা ২০১৫ সালে ছিল ১১ শিশু। ২০১৬ সালে বাল্যবিবাহের জন্য ৪ শিশু নিহত হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে একজন। বাবা-মা পিটিয়ে হত্যা করেছে একজনকে। এদিকে ২০১৬ সালে শিশু পাচার হয়েছে ৩৮। যা ২০১৫ সালে ছিল ৩২টি।

শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি এমন ২২টি বিষয় নিয়ে ৫৯টি দৈনিক পত্রিকার আলোকে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে মানুষের জন্য সংগঠন।

এ ছাড়া শিশুস্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা ২০১৬ সালে ছিল এক হাজার ৩৬টি। ২০১৫ সালে ছিল ৩১০টি। শিশু অপরাধ ২০১৬ হয়েছে ২৫৯টি। যা ২০১৫ সালে ছিল ১১৫টি। শিশুর অনিশ্চিত আগামীর পথে বাধাগ্রস্ত হয়েছে তিন হাজার ১৪৫ জনের। যা ২০১৫ সালে ছিল ৬৭।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, বাল্যবিবাহ আইন হবার পরে আমরা সবাই হতাশ হয়েছি। যখন দেশে বাল্যবিবাহের মাত্রা প্রতিনিয়ত কমের দিকে আসছিল, সেই সময় নতুন আইন করায় এই সমস্যা আবার বেড়েছে।

শিশু পরিস্থিতি প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর আবদুল্লাহ আল মামুন। সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাহী শাহীন আনাম। আরো উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রধান নির্বাহী মোসলেমা বারী।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ মার্চ ২০১৭/সাওন/সাইফ