ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

এবার সাক্কুর ২৭ দফা

মহিউদ্দিন মোল্লা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ২৪ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এবার সাক্কুর ২৭ দফা

ইশতেহার পড়ছেন সাক্কু

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা : সীমার ২৯ দফার পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু এবার ২৭ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে নগরীর ধর্মসগারপাড়ে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

এ সময় তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা এবং যানজট সমস্যাকে নিরসন করবেন বলে জানান।

তিনি পুরাতন গোমতী নদীতে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ারও কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, মনিরুল হক চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক মোস্তাক মিয়া ও মহানগর জামায়াত আমির দীন মুহাম্মদ।

এর আগে ২১মার্চ আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ২৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন।

প্রাক্তন মেয়র সাক্কু ১১পৃষ্ঠার ২৭ দফা ইশতেহারে বলেন, কুমিল্লার প্রতিটি ধুলিকনায় জড়িয়ে আছে আমার পরিবারের স্মৃতি। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে বুকে সাহস নিয়ে অন্তত একথা বলতে পারি, আমার দ্বারা কারো অকল্যাণ হয়নি। সিটি করপোরেশনকে আমি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করিনি। কোনো আত্মীয়-বন্ধু আমার পদ-পদবীর সুবাদে গণবিরোধী কোনো কাজ করার সুযোগ পায়নি। আমার পরিবারের কেউ সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়ে জনগণের ত্রাসে পরিণত হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় কুমিল্লা একটি ঐতিহ্যবাহী পুরাতন শহর। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই শহরে জলাবদ্ধতা এবং যানজট সমস্যা দীর্ঘকালের। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আমি গত বছরগুলোতে কিছু কাজ করেছি বলেই জলাবদ্ধতা ও যানজট কিছুটা কমেছে।

মেয়র হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ ছিল কুমিল্লা শহরকে জলাবদ্ধতা ও যানজটের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। এই লক্ষ্যে গৃহীত মাস্টার প্লান অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে এবং আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন হলে কুমিল্লা শহর জলাবদ্ধতা ও যানজট মুক্ত হবে ইন্শাআল্লাহ্।

জনগণের এবং যানচালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় যানজট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আরো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ফ্লাইওভার এবং ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনাও আমার আছে।

সাক্কু তার ইশতেহারে উল্লেখ করেন, বিগত ৫ বছরে মহানগরীর কোথাও হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়নি। বরং দরিদ্র এবং নানা কারণে পুরো হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানে অক্ষম নাগরিকগণের হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও কোনো নাগরিকের হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হবে না। সিটি করপোরেশন থেকে নতুন কোনো করের বোঝাও কারো ওপর চাপানো হবে না। গত ৫ বছরে এই নতুন সিটি করপোশনে ৪৩১ কোটি ২৭ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে কুমিল্লা বরাবরই অগ্রগামী। এই গর্বিত ধারাকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে গত কয়েক বছরে বিদ্যমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের যথাসম্ভব সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ২২ নং ওয়ার্ড হাজী আক্রামউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ২৭নং ওয়ার্ডের চৌয়ারা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৫ বছরে বিদ্যমান স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন করে - কুমিল্লা মহানগর সদর দক্ষিণ এলাকার কোটবাড়িকে কেন্দ্র করে একটি শিক্ষা নগরী গড়ে তোলা হবে। এই এলাকায় উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম নারী নওয়াব ও সমাজ সেবিকা ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণীর নামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। লালমাই ও ময়নামতি পাহাড়ের আদিবাসী নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী ত্রিপুরাদের জন্য মাতৃভাষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মণের নামে কুমিল্লা নগরে একটি সংগীত কলেজ স্থাপন করা হবে।

ইশতেহারে বলা হয়, কুমিল্লা মহানগরের পূর্বাঞ্চলে কুমিল্লা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা কুমিল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নগরের দক্ষিণাঞ্চলে মেয়েদের জন্য দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখানে প্রথম শ্রেণি থেকেই লেখাপড়ার সুযোগ থাকবে।

নগরীর পশ্চিম অংশে ছেলেদের জন্য একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। সাবেক পৌরসভাগুলির নিয়ন্ত্রণে থাকা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে উন্নত ও আধুনিক করা হবে। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে স্থাপিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হবে উচ্চমানের এবং অলাভজনক। কুমিল্লা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির শহর। এই গৌরবকে ধরে রাখার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।

এই লক্ষ্যে - নগরের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মীদের জন্য নগর সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। নগরের ২৭টি ওয়ার্ড, সেইসব ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, উন্নয়নকর্মী, নারীনেত্রী এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে কীর্তিমানদের নামে একটি করে পাঠাগার স্থাপন করা হবে। সংস্কৃতি চর্চা ও নির্মল বিনোদনের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যমান মিলনায়তন সমূহের সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে।

প্রতিবছর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা বিশেষ অবদান রাখবেন তাদের সম্মাননা জানানো হবে।দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পী, সংগঠক এবং শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকবে।

লালমাই, ময়নামতি এবং গোমতী নদীকে কেন্দ্র করে একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই পুরাতন গোমতী নদীতে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ার লক্ষ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।

মা ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য নগরীতে ৮টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে উপযুক্ত ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসা সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুলেন্স সমৃদ্ধ স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিশেষ করে মা শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা থাকবে। বিগত ৫ বছরে প্রায় চার হাজার দরিদ্র নারীকে প্রসূতিকালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের এই গণমুখী কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।

কর্মজীবী নারীদের জন্য ইপিজেড এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ হোস্টেল স্থাপন করা হবে। মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাসহ নগরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। গত কয়েক বছরে ভবন নির্মাণের নকসা অনুমোদনে দ্রুততা ও স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। সংশিষ্ট সকলের সহযোগিতা নিয়ে এই প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ আরো দ্রুত করা হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিত্য নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হয়েছে। আরো উন্নতির লক্ষ্যে রিসাইকিলিংয়ের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়কে আরো সক্রিয় ও কার্যকর করা হবে। এই অঞ্চলে একটি স্টেডিয়াম ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিশুদের কল্যাণে এখানে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করা হবে।

গত কয়েক বছরে কুমিল্লার খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নগরের বিভিন্ন সড়কের এবং স্থাপনার নামকরণ করা হয়েছে। স্টেডিয়াম গেটের নামকরণ করা হয়েছে মাতৃভাষা আন্দোলনের অমর ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের নামে। ভবিষ্যতেও নতুন সব সড়ক ও স্থাপনার নাম কুমিল্লার খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামেই করা হবে।

নিউমার্কেটের বেসমেন্টে হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়ায় কিছু হকার স্থায়ী উপার্জনের অবলম্বন পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সকল হকারের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে তাদের জীবিকার স্থায়ী সংস্থানের পাশাপাশি নগরের যানজট সমস্যারও উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে।

বস্তিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বস্তিবাসীসহ নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ব্যয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

গত কয়েক বছরে কান্দিরপাড় এবং নিউমার্কেটসহ অনেক নতুন মসজিদ, ১৬টি নতুন মন্দির নির্মাণ এবং কবরস্থান ও শ্মশান তৈরি ও সংস্কার করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই কুমিল্লা নগরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের এখন আর কেউ নির্যাতন করার সাহস পায় না। ভবিষ্যতেও পাবে না।প্রতিবছর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননার ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধাদের হোল্ডিং ট্যাক্স এবং পানির বিল হ্রাস করা হয়েছে। ভবিষ্যতে মওকুফ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সন্ত্রাসকে উৎসাহ কিংবা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দেওয়ার নীতিতে অটল থেকে আমাদের এই প্রিয় নগরকে সন্ত্রাসমুক্ত এবং সম্মানীত নাগরিকদের জান-মাল নিরাপদ রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সন্ত্রাস ও ইভটিজিংয়ের মত অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল আছি এবং থাকবো।

মাদকাসক্তির অভিশাপ থেকে কুমিল্লা মহানগরকে মুক্ত রাখার জন্য আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে মিলে কাজ করছি।

প্রস্তাবিত কুমিল্লা বিভাগের নাম পরিবর্তনের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে আমরা কুমিল্লাবাসী ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যের নেতৃত্বে থাকবে কুমিল্লা মহানগর। আর তাই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে কুমিল্লার মর্যাদা রক্ষার নির্বাচন।

নিউমার্কেটের পাঁচ তলায় একটি আই.টি সেন্টার গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে নগরের জনগণ বিশেষ করে যুব সমাজ এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে আউট সোর্সিং এর ব্যবস্থাসহ একাধিক আই.টি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নগরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ এলাকাকে ফ্রি ওয়াই ফাই জোনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।



রাইজিংবিডি/কুমিল্লা/২৪ মার্চ ২০১৭/মহিউদ্দিন মোল্লা/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়