ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

সাব্বির হত্যায় ঘুষ গ্রহণের মামলার শুনানি ২০ জুন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৩, ১৬ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাব্বির হত্যায় ঘুষ গ্রহণের মামলার শুনানি ২০ জুন

সাব্বির আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বসুন্ধরার আইটি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যায় আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকার ঘুষ দুর্নীতির মামলার শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার তিন আসামির পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান দেশের বাইরে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য তাদের পক্ষে সময়ের আবেদন করেন এনামুল সরদার। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ ২০ জুন ঠিক করেন।

মামলার স্পেশাল পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই বাবরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। চার্জ গঠনের সময় শাহ আলম ও তার দুই সন্তান পলাতক ছিলেন। পরে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন গ্রহণ করেন এবং ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি নেন। জামিন গ্রহণ করলেও আদালত তাদের অভিযোগ পাঠ করে শুনাতে না পারায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করতে পারছেন না।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ মামলায় পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া লুৎফুজ্জামান বাবর,  তারেক রহমানের পিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, আবু সুফিয়ান, কাজী সলিমুল হক কামালও এ মামলার আসামি।

২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে ওই বছর ১৪ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক, বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক ও বাবর। ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যা রহস্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা গ্রহণ করেন। এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের পিএস অপুকে বুঝিয়ে দেন। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ মে ২০১৭/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়