ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘যে দলের ইচ্ছা হবে, সে দল নির্বাচন করবে’

নৃপেন রায় || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২১, ১৯ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘যে দলের ইচ্ছা হবে, সে দল নির্বাচন করবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসলে আসবেন, না আসলে না আসবেন। সংবিধানের কোথাও নেই, নির্বাচনের আগে আলোচনায় বসতে হবে। যে দলের ইচ্ছা হবে, সে দল নির্বাচন করবে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বিএনপি শাসনামলের বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনা তুলে ধরে শেখ সেলিম বলেন, সেই উনি (খালেদা জিয়া) এখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার সংবিধানে নেই। আগে ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার; এই তত্ত্বাবধায়ক তত্ত্বাবধায়ক বলে নির্বাচনের আগে ও পরে আপনারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন। পেট্রোল বোমায় দেড়শ লোককে হত্যা করেছেন। প্রায় ৫০০ লোক এখনো মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি (খালেদা জিয়া) মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। তার বিচার হবে। ৪৬ বছর পর যদি মানবতাবিরোধীদের বিচার হয়ে থাকে তাহলে খালেদা জিয়ারও এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচার হবে।

শেখ সেলিম আরো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনোদিন আসবে না। কোনো অনির্বাচিত সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। এটা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা আছে। সংবিধানে আছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আগামী নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকার থাকবেন। অন্য কোনো সরকার হবে না। তার অধীনেই নির্বাচন করতে হবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাদের আলোচনার আহ্বান নাকচ করে দিয়ে শেখ সেলিম বলেন, আলোচনার কথা বলছেন, কার সঙ্গে আলোচনা? কিসের আলোচনা? যারা মানুষ হত্যা করে তাদের সঙ্গে আলোচনা? যারা জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় তাদের সঙ্গে আলোচনা? সংবিধানের কোথাও নেই নির্বাচনের আগে আলোচনায় বসতে হবে। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ঘোষণা করবে। যে দলের ইচ্ছা হয়, সে দল নির্বাচন করবে।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, একবার তো না কইরা, নাকে খত দিয়া এখন খালি আলোচনা আর আলোচনা...। শেখ হাসিনা যখন আলোচনার কথা বলল তখন তো শেখ হাসিনাকে অসম্মান ও অপমান করেছেন।

‘আসলে এদের লজ্জা নেই। এরা অমানুষ। এরা পাকিস্তানি এজেন্ট’দাবি করে শেখ সেলিম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আসলে আসবেন, না আসলে না আসবেন। মুসলিম লীগ দেখেন নাই। এই মুসলিম লীগের অবস্থা হবে আগামী নির্বাচনে না আসলে। আপনাদের নাম-ঠিকানা পর্যন্তও পাওয়া যাবে না। আর যদি ওই ধরনের কোনো হত্যাযজ্ঞ চালাবার চেষ্টা করেন জনগণ রুখে দেবে। জনগণই আপনাদের গণপিটুনি দেবে। আপনারা দেশেও টিকতে পারবেন না। পাকিস্তানেও পালিয়ে যেতে পারবেন না।’

ভিশন-৩০ আনছেন একটা। এটাও তো নকল আনছেন। শেখ হাসিনার ছিল ভিশন-২০২১ এবং ২০৪১। আপনাদের তো কোনো ভিশন ছিল না, ছিল লুটপাট, হাওয়া ভবন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনবার্সন; এই ছিল আপনাদের ভিশন।

ভিশন দিয়ে মানুষের কাছে পপুলার হওয়া যাবে না। মানুষ আপনারে প্রত্যাখ্যান করেছে। আর কোনোদিন মানুষের কাছে যেতে পারবেন না, বলেন শেখ সেলিম।

ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য বেঁচে আছেন। না হলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পিতা-মাতার সঙ্গে নিহত হতেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। পাশাপাশি ছাত্রলীগ নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলার আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের দক্ষিণের সভাপতি বায়োজিদ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মে ২০১৭/নৃপেন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়