ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রাক্তন ভূমি কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২৯ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রাক্তন ভূমি কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : “গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া-পয়সারহাট-আগৈলঝরা-গৌরনদী সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের জন্য ভূমি হুকুম দখলের মাধ্যমে সরকারি ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাক্তন ভূমি হুকুমদখল কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত ১৭ জনের মধ্যে ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

রোববার ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল বাশার একে অপরের যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাত এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুর হক অভিযোগপত্র দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ছয় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী হলেন- গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী কমিশনার ও প্রাক্তন ভূমি হুকুমদখল কর্মকর্তা শাহরিয়ার মতিন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাককের কার্যালয়ের প্রাক্তন কানুনগো রমেশ পাল ও আবদুল জব্বার, প্রাক্তন সার্ভেয়ার মো. কাসেদুল হক, মো. ইসমাইল ও মো. মোশাররফ হোসেন।

এদের মধ্যে প্রাক্তন ভূমি হুকুমদখল কর্মকর্তা শাহরিয়ার মতিন বর্তমানে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত।

বাকি ১১ ব্যক্তি হলেন- কোটালীপাড়ার হিরণ গ্রামের হরিপদ সাহা, ডহরপাড়া গ্রামের মো. নান্নু শেখ, শেখ ঠান্ডা, দেলোয়ার হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মদনপাড়া গ্রামের মতিয়ার হাজরা, উলাহাটি গ্রামের গণেশ ওঝা, পশ্চিমপাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেন, উনশিয়া গ্রামের মো. ফজলুর রহমান, সোনাদিয়া গ্রামের লিটু শেখ ও গোপালগঞ্জ সদরের মো. সাজিদ মোল্লা।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে ২০ মে সময়ের মধ্যে শাহরিয়ার মতিন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ভূমি হুকুমদখল কর্মকর্তা ছিলেন। এ সময় তিনি গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া-পয়সারহাট-আগৈলঝরা-গৌরনদী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ভূমি হুকুম দখলের সময় ক্ষতিপূরণের অর্থ অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে বিধিবহির্ভূতভাবে চেক ইস্যু করেন। এভাবে তিনি সরকারের ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৩ টাকা আত্মসাত করেন। তদন্তে এটি প্রমাণিত।

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবর খান বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

 

রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/২৯ মে ২০১৭/বাদল সাহা/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়