ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

গাছে বেঁধে ইমামের সঙ্গে যুবতীর বিয়ে!

মহাসিন আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ১০ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গাছে বেঁধে ইমামের সঙ্গে যুবতীর বিয়ে!

মেহেরপুর প্রতিনিধি : জেলার গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামে গাছে বেঁধে এক যুবককে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে। ভুক্তভোগী যুবকের নাম নাজমুল হুসাইন (২০)। তিনি গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। পার্শ্ববর্তী মথুরাপুর গ্রামের ২৭ বছরের এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে তুলে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নাজমুল হুসাইন কোরআনে হাফেজ এবং গাংনী উপজেলার রামদেবপুর মালিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম।

তিনি জানান, ওই নারীর খালার বাড়িতে নামাজ শেখানোর জন্য যাওয়া-আসা করতেন। গত ১ জুলাই তিনি সেখানে অবস্থানকালে ওই নারীর পরিবারের লোকজন তাকে আটক করে। এক পর্যায়ে ওই নারীর সঙ্গে তাকে গাঁছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। তাকে মারধর করে বিয়েতে রাজি করানো হয়। এক পর্যায়ে তেঁতুলবাড়ীয়া নিকাহ রেজিস্ট্রার রমজান আলীর ছেলে সিহাব উদ্দীন বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। হাফেজ ইস্রাফিল হোসেন বিয়ে পড়ান। কিন্তু তাদের সংসার হয়নি। ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ায় তিনি সংসার করবেন না বলেও জানান।

তবে ওই নারী বলেন, আমি অবিবাহিত ছিলাম। নাজমুল হুসাইন গেল ৪ বছর ধরে আমাদের বাড়িতে আসেন। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রলোভনে তিনি আমার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করেছিলেন। তাই বিয়েটা যেভাবেই হোক না কেন আমি তার সঙ্গে সংসার করতে চাই। আমাকে যদি স্ত্রী হিসেবে মেনে না নেন তাহলে আইনের আশ্রয় নেব।

নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, নাজমুল হুসাইন বিয়েতে রাজি না হওয়ায় গ্রামের মানুষ আমাদের দুজনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন। নাজমুল হুসাইনকে মারধর করা হয়নি। গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার বিষয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।

ভুক্তভোগী নাজমুল হুসাইন অভিযোগ করে বলেন, মথুরাপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মোকাদ্দেস আলী, মোমিনুল ইসলাম, বাদল হোসেন, রিপন হোসেন, কালু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জোরপূর্বক আমাকে বেঁধে রাখে। এদের ষড়যন্ত্রেই আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করেন তিনি।

তবে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোকাদ্দেস আলী বলেন, যা করেছে তা মেয়ের পরিবার করেছে। এর সঙ্গে আমার বা আমার কোনো লোকজনের সম্পৃক্ততা নেই। সামাজিক বিরোধের কারণে হুজুর আমাদের দোষারোপ করছেন।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী নাজমুল হুসাইনের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

 

 

রাইজিংবিডি/মেহেরপুর/১০ জুলাই ২০১৭/মহাসিন আলী/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়