ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শিশু আদালতে চলবে রিশা হত্যা মামলার বিচার

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩২, ২৩ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশু আদালতে চলবে রিশা হত্যা মামলার বিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলা ঢাকার শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

ফারুক আহম্মেদ জানান, এই মামলার অভিযোগপত্রে ৪ জন শিশু সাক্ষী ছিল। এ কারণে আসামিপক্ষ থেকে গত ৩১ জুলাই এ মামলাটি ঢাকা অষ্টম অতিরিক্ত আদালত থেকে শিশু আদালতে বদলির জন্য আবেদন করা হয়। আদালত ১০ আগস্ট শুনানি শেষে ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে আদেশ নামঞ্জুরের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি পরিবর্তনের জন্য ফের আবেদন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকার শিশু আদালতে মামলাটি বদলির নির্দেশ দেন।

এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের ফুটওভার ব্রিজে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে পাওয়া যায়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিশার মৃত্যু হয়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দিনই রিশার মা তানিয়া রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭ ধারায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর আঘাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন। রিশা নিহত হওয়ার পর হত্যার অভিযোগে ৩০২ ধারা সংযোজন করা হয়।

ঘটনার পর থেকে ওবায়দুল পলাতক ছিলেন। তাকে ঠাকুরগাঁও দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডেমরা থানার সোনারগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন ওবায়দুলের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডচলাকালীন চতুর্থ দিন ৫ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। প্রেমের প্রস্তাবে রিশা রাজি না হওয়ায় তাকে খুন করে বলে ওবায়দুল স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করে।

এরপর মামলা তদন্ত করে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুল হককে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। অভিযোগপত্রে ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ আগস্ট ২০১৭/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়