ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে মুফতি হান্নানের ভগ্নিপতি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আত্মসমর্পণের পর কারাগারে মুফতি হান্নানের ভগ্নিপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত আসামি মুফতি হান্নানের ভগ্নিপতি সারোয়ার হোসেন মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবদুর রহমান সরদার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী লুৎফর রহমান বলেন,  সারোয়ার হোসেন মিয়া মামলা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। গত ২০ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল তার ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেন। মিডিয়ায় তিনি ওই খবর জানতে পেরে মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি মুফতি হান্নানের ছোট ভগ্নিপতি। ওই কারণেই তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট মামলাটিতে ১০ আসামিকে গুলিতে মৃত্যুদণ্ড, এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সারোয়ার হোসেন মিয়াসহ ৩ আসামির ১৪ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলার অভিযোগপত্রে আসামি সারোয়ার হোসেন মিয়ার নাম উঠে আসে। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার এস আই নূর হোসেন একটি মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তিতে জানান সে নিজে এবং অন্যান্য আসামিরা এই মামলাগুলোয় জাড়িত। সিআইডি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম মামলা দু‘টিতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। ওই চার্জশিটে মুফতি হান্নানসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭/মামুন খান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়