ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রংপুরে হত্যা মামলার ৩ সাক্ষী আদালতে আসেননি

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রংপুরে হত্যা মামলার ৩ সাক্ষী আদালতে আসেননি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায়  আওয়ামী লীগ নেতা ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার সাক্ষি তিন পুলিশ সদস্য মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তাই কাউনিয়া থানার ওসি মামুনুর রশিদকে আগামীকাল বুধবার আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এর ব্যখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তিন পুলিশকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এই তিন পুলিশ সদস্য ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একজন ডাক্তারের সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। রমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তার রবি শংকর মন্ডল সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তিনি আদলতকে বলেন, ‘ফরেনসিক পরীক্ষায় রহমত আলীকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে খাদেম রহমত আলী হত্যার বিচার চলছে।’

বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, এই মামলায় আজ তিন পুলিশসহ চারজনের সাক্ষির দিন ছিল। তিন পুলিশের কেউ আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তাই আদালত এর ব্যাখ্যা চেয়ে কাউনিয়া থানার ওসি মামুনুর রশিদকে বুধবার সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিন পুলিশকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই পর্যন্ত এ মামলায় ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৫৬ জন সাক্ষি রয়েছেন।’

এর আগে সকালে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৯ জঙ্গিকে রংপুর আদালতে আনা হয়। এরা হলো- জঙ্গি মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, সাদাত ওরফে রতন সরোয়ার, হোসেন ওরফে সাবু ও তৌফিকুল ইসলাম।

গত বছরের ৩ জুলাই এই মামলায় আদালতে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে জঙ্গি বাইক হাসান ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বাকি ১২ জনের মধ্যে ৯ জঙ্গি গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে আছে। এ ছাড়া তিন জঙ্গি এখনও পলাতক। এরা হলো চান্দু মিয়া, রাজিবুল ইসলাম ওরফে বাদল ও বাবুল আখতার।

২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চৈতার মোড়ের মাজার শরীফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) গলা  কেটে হত্যা করে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সদস্যরা। তিনি টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি এবং চৈতার বাজারে ওষুধের দোকান করতেন। ওই দিন রাত ১১ টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। চৈতার মোড়ে এলে জেএমবি সদস্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত রহমত আলী সুরেশ্বরী পীরের অনুসারি  ছিলেন। তার বাড়িতে দরবার শরিফ ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করেন।



রাইজিংবিডি/রংপুর/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭/নজরুল মৃধা/রুহুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়