ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘দেশ প্রেমে পতাকা বিক্রি করি’

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘দেশ প্রেমে পতাকা বিক্রি করি’

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ : শুকুর আলীর বয়স ৩৮ বছর। পেশায় পতাকা বিক্রেতা। সারা দিন শহরের অলিগলি ঘুরে বিক্রি করেন লাল সবুজের জাতীয় পতাকা। জাতীয় দিবসগুলো বাদে কোনো দিন আয় ৫০০ টাকা, কোনো দিন এক হাজার টাকা। তাই দিয়ে কোনো রকমে ছয় সদস্যের পরিবার চালিয়ে নেন তিনি।

অন্য পেশা রেখে কেন তিনি পতাকা বিক্রির পেশা বেছে নিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, অনেক রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছে এই পতাকা। দেশ প্রেমের টানে সবার হাতে তুলে দিতে পতাকা বিক্রি করেন। আর এর থেকে আয় দিয়ে কোনো রকমে চালিয়ে নেন সংসার।

গোপালগঞ্জ শহরের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামের পাশের চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে রাইজিংবিডির প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় শুকুর আলীর। পতাকা বিক্রি করে আনন্দ পান তিনি। কারণ এটি দেশের গর্ব।

শুকুর আলী জানান, তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের পদ্মকান্দা গ্রামে। অভাবের কারণে ঠিকভাবে লেখাপড়া করতে পারেননি। সংসারে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন ছেলে রয়েছে। ছেলেরা পড়ালেখা করে। পড়াশোনা বেশি না জানায় চাকরি করতে পারেননি। পরে সংসার চালাতে পতাকা বিক্রির পেশা বেছে নেন। গত ১০ বছর ধরে শহর থেকে গ্রাম, পাড়া থেকে মহল্লার পথে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন। সেই আয় দিয়ে কোনো রকমে সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সাইজ ও দামের জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। বড় পতাকা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মাঝারি পতাকা ৫০-৬০ টাকা, ছোট পতাকা ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং হাত পতাকা ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করেন। জাতীয় দিবসগুলোতে পতাকা ভালোই বিক্রি হয়। সে সময় পাঁচ  হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার পতাকা বিক্রি হয়। ছোট-বড় অনেকে বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা কিনছেন।

পতাকা বিক্রেতা শুকুর আলী অনেক কষ্টে অর্জিত লাল সবুজের পতাকার সম্মান দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।



রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/১১ ডিসেম্বর ২০১৭/বাদল সাহা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়