ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ

শাহরিয়ার সিফাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ৭ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবিসংবলিত আন্দোলনে প্রশাসনিক ভবনে প্রায় চার ঘণ্টা তালাবদ্ধ অবস্থায় অবরুদ্ধ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ সময় ২০১৭-২০১৮  শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তির সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

রোববার সকাল থেকে এই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকরা পড়েন বিপাকে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ভর্তি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে জড়ো হন। সেখানে গিয়ে তারা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেনি।



এরপর প্রশাসনিক ভবন, সকল একাডেমিক ভবন, সকল হল, সোনালী ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গেট তালাবদ্ধ করে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের মুখে দুপুর ১টায় অবরোধ তুলে নেন তারা।

জানা যায়, শনিবারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে বিভিন্ন ইউনিটে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এর ভিত্তিতে আজ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার কথা, কিন্তু সকল হল ও ব্যাংকে তালা দেওয়ায় সকল ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পরে। এ সময় সকল ইউনিটের দ্বিতীয় ধাপের সাক্ষাৎকার বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা সম্মত হননি। পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনে ডাক দেওয়া ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানকে ডেকে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে তারা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উন্নয়ন ফি বাতিল, পরীক্ষার ফি বাতিল, ল্যাব ফি বাতিল, ক্রেডিট ফি ১১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করা ও পরিবহন খরচ ৩০০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা। এ সময় তারা তাদের দাবি সংবলিত একটি আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর দেন। পরে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের দাবির জন্য আলোচনা ভেস্তে যায়।



বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘চলমান যে সমস্যা তা সমাধানের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র আমরা পেয়েছি। আমাদের কিছু না জানিয়ে যে সমস্যাগুলোর জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, তা ধীরে ধীরে সমাধান করা হবে।’



রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/৭ জানুয়ারি ২০১৮/শাহরিয়ার সিফাত/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়