ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ব্যাংকিং খাতে কেলেঙ্কারি কমছে : দুদক চেয়ারম্যান

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ৮ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্যাংকিং খাতে কেলেঙ্কারি কমছে : দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ব্যাংকিং সেক্টরে কেলেঙ্কারি বাড়ছে-এ কথা  ঠিক  না। কেলেঙ্কারি বাড়ছে না বরং কমছে। আমার ধারণা ব্যাংকিং খাতে সুশাসন শুরু হয়েছে।

সোমবার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।

প্রাইভেট ব্যাংকিং সেক্টরে কেলেঙ্কারি বাড়ছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন অব্যাহত থাকবে, ব্যাংকের বোর্ডগুলো ভালভাবে কাজ করছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। কারণ হচ্ছে প্রবৃদ্ধি, এই খাতে ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যেখানে নিয়ম থাকে সেখানে কিছু অনিয়ম তো থাকেই। সেজন্যই তো আমাদের মত সংস্থা।

বড় বড় প্রজেক্টে দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের সহযোগিতা প্রসঙ্গে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলেছিলাম  বড় বড় প্রজেক্টে যদি তারা মনে করেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের সাহায্য দরকার, এমনকি ক্যাবিনেট ডিভিশনকেও বলেছিলাম যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আমাদের সাহায্যর জন্য। তবে আমরা আসলে এ বিষয়ে তেমন কোনো রেসপন্স পাইনি।’

তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ স্বপ্রণোদিত হয়েই করছি। আমরা লক্ষ্য রাখছি। দুর্নীতি প্রতিরোধের বিষয়টা চলমান। সরকার চেষ্টা করছে। দুর্নীতি হওয়ার আগেই যাতে দুর্নীতি বন্ধ ও প্রতিরোধ করা যায়। এটা বুঝতেও সময় লাগে।

আগামী নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পদের সঠিক হিসাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের ভূমিকা একটাই আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারা হলফনামা সঠিকভাবে দিবেন, সেটাই আমরাও চাই। ইতিমধ্যে দু-একজন  সংসদ সদস্যের ব্যাপারে আমরা ইলেকশন কমিশনে লিখেছি যে, তাদের সম্পদ বিবরণী সঠিক নয়। যারা জনগণের প্রতিনিধি হবেন, জনগণ জানুন তারা সঠিকভাবে নির্বাচন কমিশনে সম্পদের সঠিক হিসাব নিবেন।

২০১৮ সালের দুদকের কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি প্রায় ২৫টি সেক্টরে অপচয়-দুর্নীতি বন্ধ করতে আমরা ব্যবস্থা নিব এবং দৃশ্যমান কিছু কাজ করার চেষ্টা করব, যাতে সবাই বুঝতে পারে দুর্নীতি বিরুদ্ধে কিছু একটা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পাঁচ বছর কর্মপরিকল্পনার দ্বিতীয় বছর শুরু হয়েছে। আপনারা জানেন ২০৩০ সালের মধ্যে চীন-জাপানসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ২৭ কোটি জনশক্তি লাগবে। এজন্য জনশক্তি শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্নীতর কোনো প্রভাব যাতে না পড়ে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ বছর চেষ্টা করব প্রকৌশলী সংস্থাগুলোতে যাতে টেন্ডারে ও ক্রয়-বিক্রিয়ে যাতে অনিয়ম না হয় সেজন্য সরকারি অর্থ অপচয় না হয় সেই বিষয়ে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণে প্রকৌশলীদের সাথে সভা করে বলব। কারণ সরকারের বাজেটের সিংহভাগই যায় প্রকৌশলীদের মাধ্যমে। আমরা যাচ্ছি যাতে জনগণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় হয়, যাতে কোনো দুর্নীতি না হয়।

এছাড়া ইদানিং দুঃখের সহিত লক্ষ্য করছি প্রায় ১০টি মামলায় মূলত যাতের আসামি হওয়ার কথা সেখানে তাদের স্ত্রীরাও আসামি হয়ে যাচ্ছেন। এটি একটি সামাজিক সমস্যা বলে মনে হচ্ছে। অবৈধ অর্থ যাতে দুর্নীতিবাজরা স্ত্রীদের নামে রাখতে না পারে এ বিষয়ে স্ত্রীদের সাবধান হওয়ার বিষয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন ইকবাল মাহমুদ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জানুয়ারি ২০১৮/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়