কুষ্টিয়ায় অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ধর্মঘট

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ধর্মঘট চলছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা। লাশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা রোগীদের নিয়েও বিপাকে পড়েছেন স্বজনরা।

আজ বুধবার কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকাল থেকে শুরু হয়েছে এ ধর্মঘট।

যেখানে হাসপাতালের গেটে সর্বত্র অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকত সেখানে আজ রয়েছে ইজিবাইক। এছাড়া ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসও হাসপাতাল থেকে রোগী নিতে আসছে না। ইজিবাইক আর ভ্যানে করে হাসপাতাল সীমানার বাইরে গিয়ে তারপরে পাওয়া যাচ্ছে মাইক্রোবাস।

কুষ্টিয়ার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জানান, স্থানীয় দালালরা আমাদের কাছ থেকে চাঁদা চায়। ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন দালাল আমাদের কাছে টাকা দিতে হবে বললে শামীম হোসেন নামের আমাদের এক চালক টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে। দালালরা রাজশাহীতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া হলে ৫০ টাকা। আর ঢাকায় ভাড়া হলে ১০০ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করে। আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই। যতদিন আমাদের বিষয়টি সুরাহা না হবে ততদিন আমরা গাড়ি চালাব না।

এদিকে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের প্রথমদিনে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্ট্রোকের মতো জরুরি রোগী ও স্বজনরা।

কুষ্টিয়া জেলা অ্যাম্বুলেন্স সমবায় সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা ভয়ে আছেন। তারা মারধরের শিকার হতে চাইছেন না। তাই অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ আছে। আশানুরূপ সুরাহা না হলে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকবে।

কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালের বাইরের অ্যাম্বুলেন্সগুলো না চললেও আমাদের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালু রয়েছে। এতে সাধারণ রোগী ও স্বজনদের তেমন একটা ভোগান্তি হচ্ছে না।

তবে এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।



রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/১৭ জানুয়ারি ২০১৮/কাঞ্চন কুমার/মুশফিক