ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সংবিধান অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সংবিধান অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচন : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান অনুয়ায়ী আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের (সিরাজগঞ্জ-৫) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে সংবিধান। সংবিধান অনুয়ায়ী আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় সহায়ক সরকার গঠনের বিধান সংবিধানে নেই।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি জন্ম নিয়েছে মার্শাল ল জারি করে সংবিধান লংঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে। তাই অবৈধ দাবি করাটা তাদের অভ্যাস। জিয়াউর রহমানের আমলে ভোটারবিহীন গণভোট (হ্যাঁ/না ভোট) করেছিল বিএনপি এবং সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে এবং সরকার গঠন করে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরবর্তী সময়ে উক্ত কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে মাগুরা ও ঢাকার উপ-নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করেছিল এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার গঠন করে বিএনপি।

তিনি আরো বলেন, অমাদের সরকার গণতন্ত্রকে সব সময় সমুন্নত রাখবে। সেজন্য সংবিধান পরিপন্থী কোনো সরকারব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব না। আমি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছিলাম। তার মানে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকারের পরিসর ছোট করা হবে। সরকার নির্বাচনকালে রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।

সংসদ সদস্য শেখ মো. নূরুল হকের (খুলনা-৬) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে বর্তমানে শীতকালে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট এবং উৎপাদন ক্ষমতা ১৬ হাজার ৪৫ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভসহ)। ফলে বর্তমানে দেশে ‍বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। তবে গ্রীষ্মকালে সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা, গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মাঝে মধ্যে ‍বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে।

তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যেই দেশের শতভাগ এলাকায় নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে প্রাপ্ত চাহিদার তথ্য অনুযায়ী আসন্ন সেচ মৌসুম ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ১১ হাজার থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ খাতে যুগোপযোগী বাস্তবসম্মত টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক নতুন নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানির ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ধারাবাহিতকায় ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জানুয়ারি ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়