ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঋণ কেলেঙ্কারির দায় অস্বীকার করলেন ম খা আলমগীর

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঋণ কেলেঙ্কারির দায় অস্বীকার করলেন ম খা আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, সংসদ থেকে : মহিউদ্দিন খান আলমগীর ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে তার ‍বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ কল্পনাভিত্তিক ও অনুমাননির্ভর।

সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের ৭৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ এসব তথ্য বাইরে প্রকাশ করতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যাতে এসব তথ্য প্রকাশ না পায় সে বিষয়েও স্পিকারের কাছে অনুশাসন চান তিনি।

ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, তিনটি পত্রিকা ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে আমার বিরুদ্ধে কতিপয় ঘৃণিত, অসত্য তথ্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাতির সামনে প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নাকি ঋণ বিতরণের আগে গ্রাহকদের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছি। এত বড় অসত্য কথার সম্মুখীন আমি ৭৭ বছরে কখনো হইনি।

তিনি বলেন, আমি শিল্প ব্যাংক ব্যবস্থানায় ছিলাম, কৃষি ব্যাংকের শিল্পঋণ সংস্থার সভাপতি ছিলাম, জেদ্দায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ছিলাম। আমার কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো অপবাদ কেউ কোনো দিন উপস্থাপন করতে পারেনি।

তিনি নিজের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংসদে তুলে ধরে বলেন, আমার ব্যাংক হিসাবের পুরো অংশ নিয়ে এসেছি। এখানে কেউ প্রমাণ করতে পারবেন না কোনো ঋণগ্রহীতার কাছে থেকে আমার এখানে অর্থ ঢুকেছে। তারা রিপোর্টে বলেছেন, আমি চেয়ারম্যান থাকাকালে ১৭ জুলাই ১৩ কোটি টাকা গ্রাহকের হিসাব থেকে আমার হিসেবে এসেছে। আমার ব্যাংক হিসাব এখানে আছে। ১৭  জুলাই থেকে পরবর্তী ৭ বা ১০ দিনে আমার হিসাবে এ ধরনের কোনো অর্থ জমা হয়নি। তাই আমি মনে করি, এ ধরনের অপবাদ সমাজে সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রতিকূল।

প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, চেয়ারম্যান থাকাকালে অনুমোদনহীন ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে যা প্রচার করা হয়েছে এই অভিযোগও অস্বীকার করছি। কেননা আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন অনুমোদন ছাড়া কোনো ঋণ প্রক্রিয়াজাত করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন পর্যবেক্ষকও এটা অবলোকন করেছেন। এভাবে অনুমানভিত্তিক প্রচার আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা রাখা ও প্রমোশন করার জন্য প্রতিকূল।

তিনি বলেন, ফারমার্স ব্যাংকে যে পরিমাণ ঋণ অনুমোদন হয়েছে তার চাইতে বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগও আনা হয়েছে। এই অভিযোগও অস্বীকার করছি। টাকা দেওয়া ও সঞ্চালন করার এখতিয়ার ব্যাংক কর্মকতা, ম্যানেজার এবং অন্যান্যদের। অনুমোদনের বাইরে কোনো ঋণ দিয়ে থাকলে সেটা তাদের দায়িত্ব। তবে আমি চেয়ারম্যান থাকাকালে আমার জানা মতে, এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

ব্যাংকটিতে সবক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি বলে যে অভিযোগ এসছে, সে সম্পর্কে ফারমার্স ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের সকল ক্ষেত্রে যথাযোগ্য কর্মকর্তা নিয়েছি। শুধু তাই না, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকে সবচাইতে বেশি মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরিদের নিয়োগ দিয়েছি। এটা ইচ্ছা করেই করেছি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আসাদ/রফিক 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়