ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফারমার্স ব্যাংকের চিশতীসহ গ্রেপ্তার ৪ জন রিমান্ডে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ১০ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফারমার্স ব্যাংকের চিশতীসহ গ্রেপ্তার ৪ জন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তার ছেলেসহ চারজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।

আসামিদের মধ্যে মাহবুবুল হক চিশতীর পাঁচদিন, অপর তিন আসামির চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম আসামিদের আদালতে হাজির করে দশদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামিরা বিভিন্ন ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে উৎকোচ বিপুল পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করেন। যার বেশির ভাগ অর্থ নগদ জমা করে দি ফারমার্স ব্যাংক লি. গুলশান শাখার মাধ্যমে বকশীগঞ্জ শাখায় তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হিসাবে প্রেরণ করেন। আসামিরা উৎকোচ, ঘুষ, কমিশন হিসেবে যে অর্থ অবৈধভাবে গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এজন্য দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা। একই সাথে তিনি জামিনের বিরোধিতা করেন।

আসামিপক্ষে মাহফুজ মিয়া, মেহেদী হাসান প্রমুখ আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের প্রার্থনা  করেন।

দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর, আবুল হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল।

এর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় ওই অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন-মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী ও এবং ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিং এর মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে ক্রয়কৃত ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেছেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ এপ্রিল ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়