ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু শনিবার

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু শনিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীন প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ আগামী শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের চুক্তির আওতায় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রাথমিকভাবে ১৬টি খান পরিষ্কার এবং পুনঃখনন কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরীতে কোথাও যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম রাইজিংবিডিকে জানান, সিডিএ’র গৃহীত নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এই পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। শনিবার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বৈঠক করে কর্মপন্থা ঠিক করে নিয়েছে ইতিমধ্যে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা লিমিটেড এবং করিম গ্রুপকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরো দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এসব মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগ দিয়ে সেনাবাহনী পুরোদমে কাজ করবে বলে সিডিএ চেয়ারম্যান জানান।

প্রকল্পের আওতায় যেসব কাজ করা হবে : চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩৬টি খাল পরিষ্কার করে ৪ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার কাদা অপসারণ এবং ৫ লাখ ২৮ হাজার ২১৪ ঘনমিটার মাটি খনন করা। এতে খরচ হবে ৫৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। খালের দুপাশে ১৭৬ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণে ব্যয় হবে ২ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। খালের ওপর ৪৮টি সেতু ও ৬টি কালভার্ট নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। পাঁচটি টাইডাল রেগুলেটর নির্মাণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ৪২টি বালির ফাঁদ (সিল্ট ট্র্যাপ) করা হবে ২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকায়। এছাড়া বন্যার পানি সংরক্ষণের জন্য তিনটি জলাধার ও খালের পাড়ে রাস্তা নির্মাণ হবে। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটিতে মোট ৩৬টি খাল থাকলেও শনিবার একযোগে ১৬টি খালে কাজ শুরু হবে। খালগুলো হচ্ছে- চাক্তাই খাল, বির্জা খাল, রাজাখালী খাল ১, রাজাখালী খাল ২, রাজাখালী খাল ৩, মির্জা খাল, মরিয়মবিবি খাল, হিজরা খাল, মহেশখাল, কলাবাগিচা খাল, ডোমখাল, বামুনশাহী খাল (কোদালাকাটা খাল, কাটা খাল, সানাইয়া খাল, মধুছড়া খালও বামুনশাহী খালের অন্তর্ভুক্ত), চাক্তাই ডাইভারসন খাল (বাকলিয়া খাল নামেও পরিচিত), নোয়া খাল (বাইজ্জা খাল ও বালু খাল নামেও পরিচিত), খন্দকিয়া খাল ও নাছির খাল। এই খালগুলোর কাদা পরিষ্কারের পাশাপাশি খালের সঙ্গে সংযুক্ত নালাগুলোও পরিষ্কার করা হবে। এতে নগরীর চান্দগাঁও, বৃহত্তর বাকলিয়া, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বকশির হাট, দেওয়ান বাজার, চকবাজার, পাঁচলাইশ, হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা প্রভৃতি এলাকার ওপর দিয়ে যেসব খাল প্রবাহিত হয়েছে সবগুলো পরিষ্কার এবং খনন করা হবে।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২৪ এপ্রিল ২০১৮/রেজাউল/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়