ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ঘুষসহ গ্রেপ্তার : ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১০, ১৪ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঘুষসহ গ্রেপ্তার : ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘুষের এক লাখ টাকাসহ গ্রেপ্তার হওয়া নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের প্রধান সহকারীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ ছাড়া প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতে এক উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক আরো একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ওই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

সোমবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-হাসপাতালের প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম, প্যাথলজি সহকারী রেজাউল করিম এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) নরসিংদী উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. রফিউল করিম।

২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ওই হাসপাতালের প্রধান সহকারীর নিজ কক্ষ থেকে ওই দুইজনকে ঘুষসহ গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আর মামলাটি তদন্ত করেন দুদকের সহকারী পরিচালক রজাউল করিম।

দুদকের বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ারের তত্ত্বাবধানে ও সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ এর উপপরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে আট সদস্যের বিশেষ টিমের সদস্যরা গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেন।

মামলা তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী জেলা হাসপাতালের কাপড় ধোলাই কাজের বিল উত্তোলন ও পরবর্তীতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মের্সাস মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের মালিক নাছির মিয়ার কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেছিলেন প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম। তার দাবির ভিত্তিতে আলোচনা করে নাছির মিয়া দুই দফায় প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলামকে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ দেন। এরপর আরো এক লাখ টাকা ঘুষের জন্য নাছির মিয়াকে চাপ দেয় আশরাফুল ইসলাম। এ পরিস্থিতিতে নাসির মিয়া বিষয়টি দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬ এ অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে সকল আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ঘুষ গ্রহণকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য দুদক একটি বিশেষ টিম গঠন করে। টিমের সদস্যরা ওই দিন বিকাল ৩টার দিকে ঘুষ গ্রহণের সময় মো. আশরাফুল ইসলাম পাঠানকে ঘুষের ১ লাখ টাকাসহ হাতে-নাতে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় ঘুষ গ্রহণে সহযোগিতা ও ঘুষের টাকা লুকানোর চেষ্টার অভিযোগে একই হাসপাতালের  মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট রেজাউল করিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

এ ছাড়া নরসিংদীর বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. রফিউল করিমের বিরুদ্ধে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্পের (পজীপ) ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮০৮ টাকা আত্মসাতে আরো একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর নরসিংদী সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মে ২০১৮/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ