ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেই কোটার গেজেট প্রকাশ’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২১, ১৪ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেই কোটার গেজেট প্রকাশ’

সচিবালয় প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা তুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। প্রধানমন্ত্রী নিরাশ করবেন না। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেই গেজেট প্রকাশ করা হবে। একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।

সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।

এর আগে বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্রে নিলাম কার্যক্রমের উদ্বোধন  করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র থেকে নিলাম কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে এ অঞ্চলের চা উৎপাদনকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। এতদিন শুধু চট্টগ্রামে চা নিলাম হতো। এতে চা উৎপাদনকারীদের বেশ সমস্যা হতো এবং ব্যয় বেশি হতো। চা উৎপাদনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে।

তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল চা। তখন দেশে ১০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হতো। এর মধ্যে ৭ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি হতো। আজ দেশে ৮৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হচ্ছে, কিন্তু তেমন রপ্তানি করার সুযোগ হচ্ছে না। দেশের ১৬ কোটি মানুষের চায়ের চাহিদা পূরণ করতে অনেক সময় চা আমদানি করতে হয়। এর মাঝেও বাংলাদেশ ভালো মানের চায়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু চা রপ্তানি করে থাকে।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭-১৯৫৮ সালে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২-১৯৭৪ সালে চা উৎপাদনকারীদের নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ভর্তুকি দিয়ে অল্প মূল্যে সার সরবরাহ করার ব্যবস্থা করেছিলেন। এছাড়া যুদ্ধবিধস্ত চা কারখানাগুলো চালুর জন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া থেকে ৩০ লাখ ভারতীয় মুদ্রা লোন নিয়ে যন্ত্রপাতি আমদানি করেছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা বাগান মালিকদের ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা সংরক্ষণের অনুমতি দেন। দেশের ৯০ ভাগ চা উৎপাদন হয় সিলেট অঞ্চলে। এ চা নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হলো। বর্তমান সরকারের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ফলে এখন দেশের উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর জেলায়ও চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশের ৬৪ হাজার ৮৮৬ হেক্টর জমিতে চা উৎপাদিত হচ্ছে। চা শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার। ২০১৭-১৮ মৌসুমে (এপ্রিল-মার্চ) নিলামে ৭৬.৫৮ মিলিয়ন কেজি চা বিক্রয় হয়।  এ সময় চায়ের গড় মূল্য ছিল ২১৪.১০ টাকা। ২০১৭ সালে ২.৫৬ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি হয়েছে।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন । শ্রীমঙ্গলে নিলাম কেন্দ্রে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান, চা উৎপাদন ও ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মে ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়