ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সুন্দরবনের ৬ বনদস্যু বাহিনীর ৫৪ সদস্যের আত্মসমর্পণ বুধবার

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৪, ২২ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সুন্দরবনের ৬ বনদস্যু বাহিনীর ৫৪ সদস্যের আত্মসমর্পণ বুধবার

ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু, বনদস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ছয়টি বাহিনীর ৫৪ জন সদস্য র‌্যাব-৬ খুলনার সদর দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে বুধবার। এ সময় তারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেবে।

র‌্যাব-৬ খুলনার পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-৬ এর সূত্র জানায়, আত্মসমর্পণ করতে রাজি হওয়া দস্যুবাহিনীগুলো হচ্ছে, সুন্দরবন খুলনা অঞ্চলের ভয়ঙ্কর দাদা ভাই ওরফে রাজন বাহিনী, আমীর আলী বাহিনী, হান্নান বাহিনী এবং বরিশালের মুন্না বাহিনী, ছোট শামছু বাহিনী ও সূর্য বাহিনী। ছয় বাহিনীতে ৫০ থেকে ৫৪ জন সদস্য রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে র‌্যাব সুত্র জানিয়েছে। তাদের কাছে দেশি-বিদেশি প্রায় অর্ধশতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর লবণচরায় র‌্যাব-৬ খুলনার কার্যালয়ে আত্মসমর্পণের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ ও র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, মিজানুর রহমান এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনসহ নেভি, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে ইতোপূর্বে আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের ৫৮ জনের প্রত্যেককে পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হবে।

খুলনা র‌্যাব-৬’র অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, খুলনার তিনটি দস্যু বাহিনীর সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবে। সুন্দরবনকে নিরাপদ করতে সরকারের নির্দেশ পালন করছে র‌্যাব।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা অঞ্চলের তিন দস্যুবাহিনী সুন্দরবনের শ্যামনগর, আড়পাঙ্গাসিয়া, মোংলা, আন্ধারমানিক, হারবাড়িয়া, কলাগাছি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করত। বনের ওপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ রীতিমতো তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। তাদের মাসোয়ারা দিয়ে জেলে-মৌয়ালদের বনে প্রবেশ করতে হতো। এমনকি বনরক্ষীরাও তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকত। তবে সাম্প্রতিক র‌্যাবের বেশ কয়েকটি সফল অভিযানে পর দস্যুদের দৌরাত্ম্য কমতে থাকে। একই সঙ্গে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এসব দস্যু আত্মসমর্পণের পথ খুঁজতে শুরু করে।  যার ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে ২১৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/খুলনা/২২ মে ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়