ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

১০০০০ মে. টন পেঁয়াজ আমদানি, তবুও দাম বৃদ্ধি

বিএম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ২৩ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১০০০০ মে. টন পেঁয়াজ আমদানি, তবুও দাম বৃদ্ধি

বি এম ফারুক, যশোর : সরকার শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দিলেও কয়েক দিনের ব্যবধানে ২০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এখন ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অতিরিক্ত মুনাফা লোভী বিক্রেতাদের কারসাজির কারণে অস্বাভাবিক হারে মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা সাধারণ।

এক সপ্তাহে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩০৬টি ভারতীয় ট্রাকে, ১০২টি চালানে ভারত থেকে ১০ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে দিন দিন আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের নাসিক, হাসখালী, বেলেডঙ্গা ও খড়কপুর জাতের পেঁয়াজ। এদেশে নাসিকের পেঁয়াজের চাহিদা অনেক বেশি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর আগে ১০ শতাংশ শুল্ক ধরে পেঁয়াজ আমদানি হতো। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ২০১৬ সালের রোজার আগে সরকার পেঁয়াজের উপর আমদানি শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর আর শুল্ককর সংযোজন হয়নি। তবে সরকার শুল্ককর প্রত্যাহার করে নিলেও অতিরিক্ত লাভে বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করে অস্বাভাবিকহারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে ২০৫ মার্কিন ডলার মূল্যে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি টনের মূল্য দাঁড়ায় ১৭ হাজার ১৫ টাকা। এলসি খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত পেঁয়াজ পৌঁছাতে খরচ পড়ছে প্রতিকেজি ১৯ টাকা। আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বন্দর থেকে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৩ টাকা। আর খুচরা বাজারে তা ২৮ থেকে ৩০ টাকায়।

আমদানিকারক ফিরোজ এন্টারপ্রাইজের ফিরোজ উদ্দিন জানান, পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় আমদানি হচ্ছে কম। গাড়ি ভাড়া বেড়েছে। খরচের উপর নির্ভর করে দাম উঠা-নামা করে।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রোজার মধ্যে মুসলিমদের খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ অন্যতম। প্রতিবছর এ সময়ে সরকারের সঠিক প্রক্রিয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় পেঁয়াজের বাজার আকাশছোঁয়া বেড়ে যায়। এতে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্টে পড়ে।

বেনাপোলের মীম বাণিজ্য ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শুকুর আলী জানান, তারা প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিকারকের কাছ থেকে কিনছেন ২৩ টাকায়। আর তা খুচরা বাজারে বিক্রয় করছেন ২৫ টাকায়। গরমে অনেক পেঁয়াজ পচে যায়। এতে একটু বেশি দাম ধরতে হয়। আর ক্রয়ের উপর নির্ভর করে বিক্রি দর বাড়ে-কমে।

বেনাপোল কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার সাইদ আহমেদ রুবেল জানান, পেঁয়াজের উপর শুল্ককর না থাকায় রোজা উপলক্ষে আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত পেঁয়াজ খালাশের জন্য অফিসারদের নিদের্শনা দিয়েছেন।

তিনি জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাত দিনে ৩০৬টি ট্রাকে ১০২টি চালানের মাধ্যমে ভারত থেকে ১০ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রমজান উপলক্ষে দিন দিন আমদানি বেড়ে চলেছে।



রাইজিংবিডি/যশোর/২৩ মে ২০১৮/বি এম ফারুক/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়