ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হোমনার টুপি কারখানাগুলো এখন ভীষণ ব্যস্ত

জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১১ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হোমনার টুপি কারখানাগুলো এখন ভীষণ ব্যস্ত

কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার হোমনা টুপি তৈরির কারখানা সমৃদ্ধ উপজেলা।  হোমনা সদর ও পাশের সাপলেজী, রামপুর, ঘাগুটি, দৌলতপুর, নোয়াগাঁও আলীপুর, চুনারচরসহ এখানের ৮টি গ্রামে রয়েছে প্রায় ৩৫ টিরও বেশি কারখানা।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুধু ঈদের মৌসুমে হোমনার প্রতিটি কারখানা গড়ে ২৫ লাখ টাকার টুপি দেশ এবং দেশের বাইরে বিক্রি করে থাকেন।

একসময় কুমিল্লার হোমনার তৈরি করা টুপি দেশের চাহিদা মিটিয়ে যেতো দেশের বাইরে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে। এখন রপ্তানি কমে গিয়ে অনেক কারখানা বন্ধের উপক্রম। এতে হুমকির মুখে পড়েছে হোমনার টুপিশিল্প। তবে, ঈদকে সামনে রেখে আবারো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে ঝিমিয়ে পড়া কুমিল্লার হোমনা উপজেলার টুপি কারখানাগুলো।



ঈদ মানে নতুন পোষাকের সাথে নতুন টুপি। আর বহু বছর ধরে ঈদের এই নতুন টুপির যোগান দিয়ে আসছে হোমনার টুপি কারখানাগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন হোমনার টুপি কারিগররা। এসব কারখানার অন্তত ৩ শ’ কারিগর রাতদিন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। লেইস, আড়ি, ওমানি, পাকিস্তানি, সাদা জালি, রঙিন জালি, বেলভেট এসব বাহারি নামের উন্নত মানের টুপি তৈরি হচ্ছে এখন থেকে।

হোমনা সদরের বাবুল ক্যাপ হাউজের সত্ত্বাধিকারী মোঃ বাবুল জানান, আগে এখানকার টুপি ব্যাবসা বেশ জমজমাট ছিলো। উন্নত মানের টুপি বিদেশেও রপ্তানি হতো। এখানে ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা মূল্যমানের টুপিও তৈরি হচ্ছে।



বাবুল জানান, মধ্যপ্রাচ্যে টুপি রপ্তানিতে জটিলতার কারণে এখন কিছুটা মন্দা যাচ্ছে।

কুমিল্লার হোমনার টুপি তৈরির কারখানাগুলোতে গত দুই দশক ধরে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এই টুপি তৈরির কাজ করছেন। কারখানাগুলোতে গৃহবধূ থেকে শুরু করে মেয়ে শিক্ষার্থীরা অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে টুপিতে বাহারি নকশার কাজ করে বাড়তি উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারের সচ্ছলতা আনছে। এ এলাকায় নারীরা তাদের হাতের সুনিপুণ দক্ষতায় টুপি তৈরিতে এনেছে আধুনিকমাত্রা।



রাইজিংবিডি/কুমিল্লা/১১ জুন ২০১৮/জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়