ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কক্সবাজার সৈকত পর্যটকে মুখরিত

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ১৭ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কক্সবাজার সৈকত পর্যটকে মুখরিত

কক্সবাজার প্রতিনিধি : সৈকত নগরী কক্সবাজার এখন পর্যটকের পদভারে মুখরিত। ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটি কাটাতে সবাই ছুটছেন সৈকতের দিকে।

কক্সবাজার সৈকত এলাকায় রোববার জোয়ারের সময় ছিল সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা। মূলত এই সময়ে পর্যটকদের পানিতে নামতে উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু সেই ভোর থেকে কক্সবাজার সৈকতের ছয়টি পয়েন্টে ভিড় জমতে শুরু করে পর্যটকদের। জোয়ারের পাশাপাশি ভাটাতেও পানিতে আনন্দে মেতেছিল ভ্রমণ পিয়াসীরা। অনেকে এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য। কেউবা এসেছেন ছুটি নিয়ে দীর্ঘ কর্মক্লান্তি কাটাতে।

লাবণী নামের এক পর্যটক বলেন, প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার চলে আসেন। কক্সবাজারে আসলে বাচ্চারা আনন্দ পায়, তাই এখানে ছুটে আসা।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা তৃষ্ণা বলেন, পরিবারের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পাস করতে ভালো লাগে। তাই পরিবারের সবাই মিলে প্রতিবছর এখানে আসার চেষ্টা করেন।

ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসা নাসরিন বলেন, “স্বামী, বাচ্চা, বোন-বোনের স্বামী সবাই মিলে কক্সবাজারে চলে আসলাম। এখানে ঈদের ছুটিটা ভালোভাবে কাটানো যায়। সবাই মিলে আনন্দ করছি।”

সিয়াম আহমেদ নামের এক পর্যটক বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার খুবই লাগে। অনেক মানুষ ছুটে আসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে পুরো সৈকত দেখতে আনন্দই আলাদা।

তবে শিশুদের আনন্দ সব কিছু ছাড়িয়ে। উল্লাসে কেউ পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে। কেউবা চড়ছে ওয়াটার বাইকে।

সাত বছরের শিশু ইয়াছিন জানায়, বাবা-মার সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছে। এখানে পানিতে খেলা করে মজা পাচ্ছে।

আট বছরের শিশু হুমায়রা জানায়, ঈদে কক্সবাজারে অনেক আনন্দ করছে।  কক্সবাজারে এসে সৈকতে দৌড়াদৌড়ি করে বেশ মজা পায়।

পযটকের ভিড়ে থেকে যায় দুর্ঘটনা কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা। তাই প্রস্তুত রয়েছে লাইফ গার্ড এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ।

সি-সেইভ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ সিফাত বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বহু পর্যটক আসবে এটা স্বাভাবিক। এখন বর্ষা মৌসুম, তাই সাগর উত্তাল রয়েছে। সেটা বিবেচনা করে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তা দিতে চারটি পয়েন্টে অর্ধ-শতাধিক লাইফ গার্ড নিয়োজিত রয়েছে। তারা সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, সৈকতের কলাতলী, সি-ইন, লাবণী ও ডায়বেটিক পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি টহল টিমও চারটি পয়েন্টে রয়েছে। হোটেল মোটেল জোনেও বিশেষ নিরাপত্তা রয়েছে। ফলে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে ও নিরাপদে কক্সবাজার ভ্রমণ করছেন।

হোটেল মালিকদের দেওয়া তথ্যমতে, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছে লক্ষাধিক পর্যটক। তারা কক্সবাজার শহরের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী ছাড়াও হিমছড়ি এবং ইনানী সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১৭ জুন ২০১৮/সুজাউদ্দিন রুবেল/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়