ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচার

হাসমত আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২২ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : ঈদের ছুটি শেষে শুক্রবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার পোশাক শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কর্মজীবী মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে সিটি করপোরেশনে লোক সমাগম বাড়ছে।

ছুটির দিন হওয়ায় লোকজন বাড়িতে ছিলেন। এ সুযোগ কাজে লাগাতে প্রার্থী, কর্মী সমর্থকরা সকাল থেকে ছুটেছেন ভোটারদের কাছে। আবহাওয়া ছিল অনুকূলে। ফলে প্রার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারের কাজ করেছেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সকালে নিজ বাসভবনের সামনের উঠানে তাবলীগ জামাতের মুরব্বি এবং শতাধিক সাথীর সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে গণসংযোগ শুরু করেন। বিএনপি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার দিনব্যাপী বাসন অঞ্চলে (সাবেক বাসন ইউপি) গণসংযোগ ও পথসভা করেন।

আওয়ামী লীগের মিডিয়া সেল জানায়, তাবলীগ জামাতের মুরব্বি এবং সাথীদের সঙ্গে  মতবিনিময় শেষে জাহাঙ্গীর আলম মহানগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কলাবাগানে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। পরে মজলিশপুর, বাংলাবাজার, বিপ্রবর্থা, খালপাড়া পথসভায় ভোটারদের সহযোগিতা ও ভোট চান। চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।

বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে পথসভার মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা প্রচার কাজ শুরু করেন। পরে আক্তার মার্কেট, টিএন্ডটি রোড, শাপলা মেনশন ও অনুপম সুপার মার্কেটে পথসভার মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করেন। তিনি টঙ্গীতে মহানগর আওয়ামী লীগে যৌথসভায় যোগ দেন।

চান্দনা চৌরাস্তা জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মসজিদ আঙিনায় মুসল্লিদের উদ্দেশে প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ইসলামিক দল এবং ইসলামিক সংগঠনের যারা আলেম আছেন, সকলের সহযোগিতা চেয়েছি। মহানগরীর ১৮০০ মসজিদের খতিব, ৪৫০ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক এবং তাবলীগ জামাতে মুরব্বিরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাকে নৌকা মার্কায় সমর্থন দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আমাকে ভোট দেন, নৌকাকে ভোট দেন। আমি ক্লিন এবং গ্রিন সিটি উপহার দিতে চাই। সবাইকে একটি বাসযোগ্য শহর দিতে চাই।’


খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সকাল থেকে প্রার্থীর সঙ্গে  পথসভা এবং গণসংযোগ করেন। কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন সকালে টঙ্গীতে এবং চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের পর প্রচার চালান। 

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আখতার হোসেন বোখারী মহানগরীর ৪০, ৪১ নং পুবাইল এলাকায় গণসংযোগ করেন। টাঙ্গাইল কালিহাতি উপজেলা চেয়ারম্যান মাজহুরুল ইসলাম তালুকদার টঙ্গীতে প্রচারণা চালিয়েছেন।

বিএনপি প্রার্থীর মিডিয়া সেল জানায়, প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার দিনব্যাপী বাসন অঞ্চলে গণসংযোগ ও পথসভা করেন। তিনি সকালে বাসন অঞ্চলের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোগরখালে পথসভার মাধ্যমে তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। দুপুরে তিনি টিএন্ডটি কলোনি জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও দোয়া চান।

তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের যোগীতলা নতুন বাজার, চান্দনা মোশারফের স্কুল (দক্ষিণপাড়া), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ীয়ালী নগপাড়া মন্ডলবাড়ী মসজিদ সংলগ্ন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীম উদ্দিন মার্কেট, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইটাহাটা রাস্তার মাথা, হকমার্কেট ও কাউন্সিলর ফয়সাল সরকারের অফিস প্রাঙ্গনে পথসভা করেন।

পথসভায় হাসান সরকার বলেন, এটি সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়, এটি একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তাই জনগণের রায়কে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। কাজেই গণগ্রেপ্তার বন্ধ করে ভোটের পরিবেশ নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান।

দুপুরে হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে পথসভায় যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, চট্রগ্রামের সাবেক মেয়র মীর নাসির উদ্দিন, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান লালু। তাদের সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আহমেদ প্রমুখ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও প্রার্থীর মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ড. মাজহারুল আলম জানান, নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে বিএনপির কেন্দ্রীয় ৫৭টি নির্ধারিত টিমের গণসংযোগ অব্যাহত রয়েছে।

গণসংযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকতউল্লাহ বুলু, আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় নেতা সাবেরা আলাউদ্দিন, ওমর ফারুক শাফিন,  একরামুল হক বিপ্লব, সালাহ উাদ্দিন ভূইয়া শিশির, মীর নাসির, ড. ফরহাদ হালিম, হেলালুজ্জামান লালুসহ দুই শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।

 

 

রাইজিংবিডি/গাজীপুর/২২ জুন ২০১৮/হাসমত আলী/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়