ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দেয়নি মিয়ানমার-জাতিসংঘ

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ৩০ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দেয়নি মিয়ানমার-জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে যেসব রোহিঙ্গা ফেরত যাবে তাদেরকে সেদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া কিংবা স্বাধীনভাবে চলাচলের কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।

জাতিসংঘ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে এ সংক্রান্ত যে সমঝোতা স্মোরক স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে এ ধরনের কিছু উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গত মে মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় যাতে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। তবে ওই চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ ও মিয়ানমার কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি শুক্রবার রয়টার্স পর্যালোচনা করেছে। এছাড়া চুক্তির খসড়াও অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে।

গত বছরের আগস্টে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের মাধ্যমে বিতাড়ন শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করতে বাধ্য হয়। ওই সব বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও তাদের ফিরে যাওয়ার অধিকার আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল।

জাতিসংঘ ও মিয়ানমার কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে বলা হয়েছে, ‘বিদ্যমান আইন ও নিয়ম মেনে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের অন্যান্য নাগরিকের মতো প্রত্যাবাসিতরা চলাচলের স্বাধীনতা ভোগ করবে।’ তবে এতে রাখাইনের বাইরে রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতার বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি, কিংবা বর্তমানে রোহিঙ্গাদের স্বাধীন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার যে আইন ও নিয়ম রয়েছে সে বিষয়ে এতে কিছুই বলা হয়নি।

শরণার্থী নেতা ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এই চুক্তি ব্যর্থ হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মিয়ানমার গবেষক লরা হেইগ বলেছেন, ‘রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মানে হচ্ছে, তাদেরকে জাতিবিদ্বেষ প্রসুত একটি অঞ্চলে ফেরত পাঠানো-যেখানে তারা স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারবে না এবং স্কুল, হাসপাতাল ও যে স্থানে তারা কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেখানে যেতে বাধার মুখে পড়তে হবে।’

জাতিসংঘের শরণার্থি বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ওই সমঝোতা স্মারককে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে ‘একটি সহযোগিতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির প্রথম ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছিল।

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতে এবং সামাজিক কল্যাণ মন্ত্রী উইন মিয়াতের সঙ্গে এ ব্যাপারে জানতে রয়টার্সের পক্ষে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তারা দুজনের কেউই ফোন ধরেননি।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ জুন ২০১৮/শাহেদ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়