ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

২৮ বছর পর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২২, ৭ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৮ বছর পর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডকে লিড এনে দেন হ্যারি মাগুইয়ার

আবু হোসেন পরাগ : ম্যাচ চলাকালীন ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকারের টুইট, ‘জর্ডান পিকফোর্ড যেন অমূল্য। ভালো ছেলে।’ আসলেই আজ অমূল্য ছিলেন এই ইংলিশ গোলরক্ষক!

শেষ ষোলোর টাইব্রেকারে তার দুর্দান্ত সেভ ইংল্যান্ডকে তুলেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। পিকফোর্ড আজ সেমিফাইনালে তিন-তিনটি দুর্দান্ত সেভ করলেন। অসাধারণ গোলকিপিং আর হ্যারি মাগুইয়ার ও ডেলে আলীর একটি করে গোল ২৮ বছর পর ইংল্যান্ডকে নিয়ে গেল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।

সামারা অ্যারেনায় তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলবে ‘থ্রি লায়নস’রা। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া অথবা রাশিয়া। যেটি নির্ধারণ হবে কয়েক ঘণ্টা পরই।



বিশ্বকাপে দুই দলের অাগের দুবারের দেখায় দুটিই ড্র হয়েছিল। অবশ্য দুটিই ছিল গ্রুপপর্বে, ২০০২ সালে ১-১ গোলে, ২০০৬ সালে ২-২ গোলে। নকআউট পর্বে আজই ছিল ইংল্যান্ড-সুইডেন প্রথম সাক্ষাৎ।

আজ ম্যাচের শুরু থেকে বলের দখল রাখলেও ১৯ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। মাঝমাঠের কাছে বল পেয়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে সুইডেনের এক খেলোয়াড়কে কাটান তিনি। বক্সের সামনে বল পেয়ে পোস্টের বাইরে দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি কেন।

২৩ মিনিটে স্টার্লিংয়ের ক্রস বক্সের ভেতর সুইডেনের ফর্সবার্গের হাতে লেগেছিল। পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। তবে রেফারি সে আবেদনে সাড়া দেননি।



৩০ মিনিটে প্রথম কর্নার পেয়েই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অ্যাশলে ইয়াংয়ের কর্নার থেকে আসা বল বক্সের মধ্যে জটলা থেকে হেডে সুইডেনের জালে পাঠান মাগুইয়ার। ইংল্যান্ডের হয়ে এটাই তার প্রথম গোল। প্রথম গোলের জন্য এর চেয়ে বড় মঞ্চ আর পেতেন না! এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ১০ গোলের ৮টিই হলো সেট পিস থেকে।

৪৪ মিনিটে একটি সুযোগ পেয়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। যদিও শেষ পর্যন্ত অফ সাইডের ফাঁদে পড়েন। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে আরেকটি বড় সুযোগ আসে স্টার্লিংয়ের সামনে। নিজেদের অর্ধ থেকে ত্রিপিয়ার লম্বা ক্রস খুঁজে পায় স্টার্লিংকে। অফ সাইডের ফাঁদ গলে স্টার্লিং বল নিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। এরপর গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়েছিলেন। তবে বাঁ দিকে হাত বাড়িয়ে বল আটকান গোলরক্ষক ওলসেন। আবার বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন স্টার্লিং। কিন্তু সেটি ব্লক করেন গ্রানকভিস্ট।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফিরতে পারত সুইডেন। কিন্তু দারুণ এক সেভ করে ইংল্যান্ডকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক পিকফোর্ড। ক্রস থেকে আসা বলে বক্সের ভেতর থেকে জোরালো হেড করেছিলেন মার্কাস বার্গ। কিন্তু বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে বল ফিরিয়ে দেন পিকফোর্ড।



কই সুইডেন শোধ দেবে, উল্টো ৫৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে ইংল্যান্ড। এই গোলটাও হেডে। হেসে লিনগার্ডের দারুণ ক্রস থেকে ডেলে আলীর হেড খুঁজে নেয় সুইডেনের জাল।  

৬২ মিনিটে আরেকটি দারুণ সেভ করে আবারো ইংল্যান্ডের ত্রাতা গোলরক্ষক পিকফোর্ড। বক্সের ভেতর থেকে ভিক্টর ক্লায়েসনের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান ২৪ বছর বয়সি এই গোলরক্ষক। ১০ মিনিট পর বার্গের শটও তিনি লাফিয়ে ওঠে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান।

শেষ দিকে সুযোগ পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে সেমিফাইনালে উঠতে দুটি গোলই যথেষ্ট ছিল।  



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুলাই ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়