ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

খালেদাকে আদালতে হাজির করতে আবেদন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১০ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খালেদাকে আদালতে হাজির করতে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির করতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন দুদক প্রসিকিউটর।

মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারে অস্থায়ী আদালতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। তবে আদালত এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।

এদিন মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

বেলা ১১টা ৮ মিনিটের দিকে বিচারক এজলাসে উঠলে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন।

মামলার আরেক আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না  চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসার বিষয়ে অবহিত করে তার হাজিরা প্রদান করেন তার আইনজীবী।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, অরফানেজ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তিনি আসতে চান না। যার কারণে মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারছি না। উনি আসলে মামলাটা শেষ হয়ে যেত।

পরবর্তীতে একটা তারিখ দিয়ে ওই তারিখে যেন খালেদা জিয়া যেন আদালতে আসেন এরকম ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

তিনি বলেন, ১৪৫ দিনের মতো হয়ে গেছে মামলার কার্যক্রম করতে পারছি না। আমাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। আগামী তারিখে খালেদা জিয়া যেন আদালতে আসেন এরকম ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৭ জুলাই ধার্য করেন। আর ওই তারিখ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করেন। ১১টা ১১মিনিটে মামলার কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়া উদ্দিন জিয়া, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, নুরুজ্জামান তপন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি অব্যাহত রয়েছে এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন বাকি  আছে।

এদিকে একই বিচারক গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত  করেন এবং ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠান। তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জুলাই ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়