ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রংপুরে ২ লাখ ৩০ হাজার পশু উদ্বৃত্ত

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৩, ১৬ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রংপুরে ২ লাখ ৩০ হাজার পশু উদ্বৃত্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : রংপুর বিভাগে আসন্ন কোরবানির ঈদে চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। উদ্বৃত্ত এ সব পশু দেশের অন্যান্য স্থানের চাহিদা মেটাতে পারবে।

এ বছর রংপুর বিভাগে কোরবানির যোগ্য গরু, ছাগল রয়েছে প্রায় ১৪ লাখ। ভারত থেকে গরু না এলে খামারিরা লাভবান হবেন। ভালো দামের আশায় খামারিরা কোরবানির বাজার ধরার জন্য এ সব পশু লালন পালন করেছেন।

রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোরবানিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভাগের আট জেলায় ১ লাখ ৫৪ হাজার ২১ জন খামারি ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩১টি গরু প্রস্তুত করেছেন। এ ছাড়া ২ লাখের বেশি গৃহস্থ প্রায় ৯ লাখ গরু বাজারে বিক্রি করার জন্য তৈরি করেছেন। এর মধ্যে রংপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৩৩ হাজার খামারে দুই লাখের বেশি গরু রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত বছর পশু কোরবানি হয়েছে ১১ লাখ ৭৬ হাজার। এ বছর এই বিভাগে কোরবানির উপযুক্ত গরু, ছাগল প্রস্তুত রয়েছে ১৪ লাখ। এর মধ্যে ছাগল ও ভেড়া রয়েছে আড়াই লাখ। এ সব পশু বিভাগের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্যস্থানে সরবরাহ করা হবে। কোরবানিতে দেশি জাতের ও শংকর জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা এ ধরনের গরু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মোটাতাজা করেছেন কয়েক মাস ধরে।

কোরবানি সামনে রেখে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বেপারিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পশুর দরদাম করছেন। তবে পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু লালন পালন করতে খরচ হয়েছে  বেশি। সেই কারণে গত বারের তুলনায় এবার পশুর দাম বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন খামারিরা।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার খামারি এনামুল হক প্রধান জানান, তার খামারে দুই শতাধিক গরু রয়েছে। এর মধ্যে ৭২টি গরু বিক্রির উপযুক্ত। কিন্তু বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ওই গরু বিক্রি করলে ৩ লাখ টাকার বেশি লোকসান হবে। তাই এখনো গরু বিক্রি শুরু করেননি। তিনি ভালো দামের প্রত্যাশায় রয়েছেন।

রংপুর সদর উপজেলার তাজিদুল ইসলাম জানান, গত দেড় বছর ধরে তিনি তার বাড়িতে ৪টি গাভী লালন-পালন করছেন। ইতোমধ্যে বেপারি ও ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে দরদাম করছেন। আরো বেশি দামের আশায় তিনি বিক্রি করেননি।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের রমজান আলী ও আফজাল, লালমনিরহাটের ফজলুল হক, নীলফামারীর জলঢাকার মাইদুলসহ বেশ কয়েকজন খামারি জানান, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করেছেন তারা। তবে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে পশু আমদানি করা হলে লোকসানের মুখে পড়বেন তারা।

রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগীয় অফিসের উপ-পরিচালক শেখ আজিজুর রহমান জানান, আসন্ন ঈদুল আজহায় রংপুর বিভাগে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানোর পরে দুই লাখের বেশি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতে পারবেন খামারিরা।

তিনি বলেন, কৃত্রিম উপায়ে যাতে করে কোনো খামারি গরু মোটাতাজা করতে না পারে, সেজন্য মাঠকর্মীরা বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।



রাইজিংবিডি/রংপুর/১৬ আগস্ট ২০১৮/নজরুল মৃধা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়