ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘কে মনোনয়ন পাবে, তা শুধু শেখ হাসিনা জানে’

রফিক সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ৮ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘কে মনোনয়ন পাবে, তা শুধু শেখ হাসিনা জানে’

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, কে মনোনয়ন পাবে, আর কে পাবে না-তা একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ জানে না। কাকে কোন জায়গায় রাখতে হবে দলনেত্রী তা ভালো বোঝে। তবে মনোনয়ন যেই পাক, তিনিই শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে চুপাইর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সোমবার বিকেলে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা ময়েজউদ্দিন আহমেদের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, নৌকার প্রতি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রার্থীকে ভোট দিন এবং বিজয়ী করুন। সামনের নির্বাচন কঠিন হবে। এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবেন নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার চিন্তা ছিল। আর বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে সেই দিন শহীদ ময়েজউদ্দিন সারা দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তখন জেলে। সেই অবস্থায় ফান্ড তৈরি করে আগরতলা মিথ্যা মামলা পরিচালনার ভার নেন তিনি।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পাকিস্তান আমলে পূর্বপাকিস্তানে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বসে পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জন ষড়যন্ত্র করেছেন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।  

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভাঙাদলকে জোড়া দিয়ে যারা সুসংগঠিত করেছেন, শহীদ ময়েজউদ্দিন তাদের অন্যতম। ওই দিন কেউ ছিল না বিধায় দলের প্রতি নিবেদিত হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এ জন্য তিনি ঘাতকের হামলায় শহীদ হন।  

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি ভূঁইয়ার পরিচালনায় স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আখতারউজ্জামান, তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, যুবলীগের সদস্য অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ প্রমুখ।

১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে ২২ দল হরতাল আহ্বান করে। ওই দিন গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণতন্ত্র প্র্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিছিলে ময়েজউদ্দিন আহমেদ নেতৃত্ব দেন। ওই সময় কালীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। ময়েজউদ্দিন আহমেদ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির বাবা।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/গাজীপুর/৮ অক্টোবর ২০১৮/রফিক সরকার/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়